সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ১৬ অগাস্ট রাজ্যব্যাপী খেলা হবে দিবস পালন করা হবে। এদিন এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘চুক্তি সমস্যা মিটিয়ে ইস্টবেঙ্গলও আইএসএল খেলবে।‘ স্পনসর বনাম ক্লাব দ্বন্দ্ব মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন লাল-হলুদের সমর্থকরা। মমতার এদিনের ঘোষণায় তাঁরা কিছুটা স্বস্তিতে। এমনটাই সূত্রের খবর। মমতা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের উদ্দেশে বলেন, ‘ঝগড়া হচ্ছে, মনোমালিন্য হচ্ছে। সব মিটে যাবে। চুক্তি সই হবে। ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলবে। আমার কাছে সেরকম তথ্যই রয়েছে। আমি এটুকু বলতে পারি, একটু ছেড়ে খেলুন। তা হলে চুক্তিটা হয়ে যাবে। সব ঠিক হয়ে যাবে। পাঁচ বছরের জন্য কেউ দায়িত্ব নেবে, এটাও মুখের কথা নয়। পঞ্চাশ কোটি টাকা করে লাগে। তাদেরও অনেক বলে রাজি করানো হয়েছে। সদস্যদের নিয়ে যে সমস্যা ছিল সেটাও মিটে গিয়েছে। বাকিটাও আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।’ তিনি জুড়েছেন, ‘মোহনবাগানও খেলুক। প্রতিযোগিতা প্রতিযোগিতা, ভালবাসা, ভালবাসা। খেলাধুলার মধ্যে দিয়েই একে অপরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমি চাই, মহামেডানও খেলুক। বাংলার ক্লাবগুলি ভাল ভূমিকা নিক।‘ খেলা হবে প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘মানুন বা না মানুন খেলা হবে স্লোগান জনপ্রিয় হয়েছে। খেলা কিছুটা হয়েছে। আবার হবে। দিল্লিতে আওয়াজ উঠেছে খেলা হবে। এবার সংসদে খেলা হবে স্লোগান উঠবে। খেলা ছাড়া তো জীবন চলে না।‘ তাঁর দাবি, ‘খেলার মধ্যে দিয়েই ঐক্য, সম্প্রীতি, সংহতি, সুস্বাস্থ্য, সভ্যতা সব কিছু গড়ে ওঠে। প্রতিটি খেলাই আমাদের প্রিয়। খেলাশ্রী প্রকল্পে বাংলায় ৪০টি যুব নিবাস, ৭৪টি স্টেডিয়াম, ৪ হাজারের বেশি মাল্টি জিম, ৪০০-র বেশি খেলার মাঠের উন্নয়ন, সুইমিং পুল, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্টেডিয়াম, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান মহামেডান মাঠ, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে।’ খেলা হবে প্রকল্প প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এক লক্ষ বল গ্রামের গরিব ক্লাবগুলিকে আমরা দেব। খেলাশ্রী প্রকল্পে সব ক্লাবগুলিকে সাহায্য করা হবে। ‘