মালদা

ভুট্টার ক্ষেত থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত দেহ উদ্ধার

হক জাফর ইমাম, মালদাঃ দুই দিন থেকে নিখোঁজ নবম শ্রেণীর ছাত্রর বাড়ির সামনে ভুট্টার খেত থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। বাড়ি থেকে প্রায় ২৫০ মিটার দূরে এক ভুট্টার খেত থেকে শুক্রবার বিকেলে দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক কিশোরের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মালদা চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর – ২ ব্লকের সুলতান নগর পঞ্চায়েতের মনোহরপুর গ্রামের ঘটনা | গোটা ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ | চাঁচলের এসডিপিও সজল কান্তি বিশ্বাস বলেন , ” ওই কিশোর ২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল | কেউ বা কারা অপহরণ করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। বাড়ির কিছুটা দূরে একটা ভুট্টার জমি থেকে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়েছে । ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি মালদহ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, মৃত ওই কিশোরের নাম সুরজ কর্মকার (১৫)। বাবার নাম সুদাম কর্মকার। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর – ২ ব্লকের সুলতাননগর পঞ্চায়েতের মনোহরপুর গ্রামে। মৃত ওই কিশোর সুলতাননগর হাসিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। এদিন বাড়ি থেকে প্রায় ২৫০ মিটার দূরে একটি ভুট্টার জমিতে তার পচা গলা দেহ দেখা যায় । খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। সেখান থেকে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত ওই কিশোরের পরিজনেরা জানায়, বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে একটি মাঠে খেলাধুলা করছিল | খেলার শেষে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সন্ধ্যা থেকে তার খোঁজ করা হয় | আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতেও খোঁজ নিয়েও দেখা হয় । কিন্তু ওই কিশোরের সন্ধান না মেলায় কেউ বা কারা ছেলেকে অপহরণ করেছে কিশোরের বাবা থানায় ওইদিন রাতেই থানায় অভিযোগ জানান | পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ওই কিশোরের ছবি দিয়ে প্রচার চালানো হয় | এদিন বিকেলবেলা ওই গ্রামেরই কয়েকজন কৃষক ভুট্টার জমিতে গেলে ওই কিশোরের মৃতদেহ দেখতে পান। মুহুর্তের মধ্যে ওই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । স্থানীয়রা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। খবর দেওয়া হয় কিশোরের বাড়িতেও। থানাতেও জানান হয় | মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত কিশোরের বাবা-মা ও আত্মীয় পরিজনেরা। মৃত কিশোরের বাবা সুদাম কর্মকার বলেন, ” ছেলের শরীরে কোথাও কোন ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কে বা কারা , কেন মারলো কিছুই বুঝতে পারছিনা | গ্রামে আমার সঙ্গে কারোও কোন শত্রুতা নাই । “