দেশ

বিরোধী মানেই দেশদ্রোহী নয়, ঘুরিয়ে বিজেপিকে সহিষ্ণুতার বার্তা লালকৃষ্ণ আদবানির

বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর জানা গিয়েছিল বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা ভারতের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানির জায়গায় গান্ধীনগরে প্রার্থী হচ্ছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তারপর বৃহস্পতিবারই প্রথম মুখ খুললেন আদবানি। না কোনও বক্তৃতা নয়, ৫০৯ শব্দের এক ব্লগে অস্বস্তি বাড়ালেন মোদী-শাহ জুটির।
বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসের দুদিন আগে এই ব্লগে, একেবারে শীরোনাম থেকে বিষয়বস্তু, সবেতেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মোড়কে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ’র নেতৃত্বকেই ঠুকলেন বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা – এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের কর্মীদের বার্তা দিলেন। নিজের প্রার্থীপদ নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও আডবাণীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। ‘আমার কাছে দেশ সবার আগে, দল তারপর এবং ব্যক্তি স্বার্থ সবার পরে।’ আডবাণীর এই কথা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বকে। কিন্তু এরপরই দলের বর্তমান নীতিকে কাঠগড়ায় তোলেন আডবাণী। ঘুরিয়ে তাঁর বার্তা, ‘দলের অভ্যন্তরে এবং বৃহত্তর স্তরে গণতন্ত্র রক্ষা করা শুরু থেকেই বিজেপির নীতি। যারা বিরোধীদের বিজেপি কখনই শত্রু বলে মনে করে না। তাঁরা শুধুই আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের জাতীয়তাবাদ মানে এই নয়, যে বা যাঁরা আমাদের মতে বিশ্বাস করে না, তাঁরা সবাই দেশদ্রোহী। বিজেপি সবসময় অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিতে পছন্দ করে।‘ বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবকে সামনে রেখে আদবানি এই ব্লগ প্রকাশ করলেও লোকসভা ভোটের আগে এতে করে বিরোধীদের হাতে বড় অস্ত্র এসে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।