জেলা

শেষ বয়সে বৃদ্ধা থানার দ্বারস্থ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বয়সের ভারে এখন আর ভালো করে চলা ফেরা করতে পারেনা। দুবেলা খাওয়া পরার জন্য তাই ভরসা ছেলে বৌমার উপর। অন্য মায়েদের মত দক্ষিণ ২৪ জেলার ভাঙড়ের রাঙসারা গ্রামের আলতামণি নস্কর ও বৃদ্ধা বয়সে সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য বিমুখ। খাওয়া পরার জন্য দুবেলা ছেলে বৌমার কাছ থেকে শুনতে হয় গঞ্জনা। সময় অসময়ে চড় লাথি থাপ্পড়তো আছেই। বৃদ্ধার স্বামী অনেক আগেই মারা গিয়েছে। পাঁচ ছেলের মধ্যে কিছুদিন আগেই এক ছেলে দেহ ত্যাগ করেছে। এক ছেলে অসুস্থ। ফলে ছোট ছেলে দেবদাসের কাছে ঠাই হয় বৃদ্ধার। ছেলের বিয়ের পর থেকে ছেলে এবং বৌমা নানা ভাবে অত্যাচার করত। এদিন বৌমা প্রচন্ড মারধর করে, গলায় পা তুলে দেয়, মাথার চুল ছিড়ে দেয় বলে জানান বৃদ্ধা। ছেলে বৌমা দুদিন খাওয়া দেয়নি, কাপড় জামা কিছু কিনে দেয়না সেই অভিযোগ নিয়ে টলতে টলতে ভাঙড় থানায় এসে অভিযোগ জানায়। ভাঙড় থানার আধিকারিক হাবুল কুমার আচার্য নিজের মানবিকতার পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধার খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরার জুতো না থাকায় সঙ্গে সঙ্গে নিজের পকেট থেকে টাকা বার করে জুতো কিনে আনিয়ে নিজের হাতে পড়িয়ে দেয়। বৃদ্ধাকে আসস্থ করে সব সময় পুলিশ পাশে আছে বলে। নিজের দায়িত্বে বৃদ্ধাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সারাক্ষণের জন্য একজন সিভিককে বৃদ্ধার খেয়াল রাখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। বৃদ্ধার ছেলেকে ডেকে মুচলেখা লেখা নিয়ে আপাতত ছেড়ে দেন। পরবর্তি সময়ে এমন কিছু ঘটনা ঘটনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। ছেলে বৌমাকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বললে, তারা প্রথমে কিছু বলতে চাইছিলো না। পরবর্তিতে সংবাদ মাধ্যমের দিকেই আঙুল তোলেন। বৌমা মৌসুমি নস্কর শ্বাশুড়ি মিথ্যা কথা বলছেন বলে জানান।