জেলা

ভোট চলাকালীন অনুব্রত মন্ডলের ডেরায় বিজেপি প্রার্থী অনুপম, নিলেন আশীর্বাদ

অনুব্রতর ডেরায় অনুপম। আজ ভোট দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে যান অনুপম হাজরা। উল্টে রাজনৈতিক পরিচয় সরিয়ে ব্যক্তিগত হৃদ্যতাকেই সামনে আনতে চেয়েছেন তিনি। সাধারণ রাজনীতিকের আচরণে তিনি যে বিশ্বাসী নন, সেকথাই বারবার বলেছেন। তবে অনুব্রতর দলে ফেরানোর বার্তার পাল্টা জবাবও দিতে শোনা যায়নি অনুপমকে। তাহলে কী তৃণমূলে ফিরছেন অনুপম?‌ দুপুরে জমিয়ে ভাত, মাছ ও পোস্তও খান যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী। স্নেহের সুরে অনুব্রত বলতে শোনা যায়, “বোকামি করেছে। ওকেই প্রার্থী করতাম।” দরকারে আবার দলে নিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন অনুব্রত মন্ডল।

কয়েক মিনিট আগেই শ্রীরামপুরের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন ২৩ মে পর ৪০ বিধায়ক নাকি তৃণমূল ছাড়বে। কতটা সত্যি বলছেন মোদি?‌ অনুপমের অনুব্রতর ডেরায় আসার ঘটনা কী সেই দাবিকে নিমেষে খারিজ করার পক্ষে যথেষ্ট নয়?‌ তাহলে ঘরবন্দি করেও লাভ হল না, কেষ্টদার টানে হাজির হয়ে গেলেন বিজেপি প্রার্থী।

সূত্রের খবর অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য বিজেপি । দু-জনে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন । এই সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বলে দাবি করেন দু-জনই । বিজেপি সূত্রে খবর, এই সাক্ষাতের জন্য অনুপমকে শোকজ করা হতে পারে। বিজেপি সূত্রে খবর, অনুপম ইশুতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে প্রায় ১০ মিনিট ফোনে কথা হয় । অনুপমের এই কাজে রাজ্যে নেতৃত্বের অনেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । বিজেপি-র তরফে ইতিমধ্যেই বীরভূমের জেলা সভাপতির কাছে না কি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে । এবিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আজ ভোট চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে অনুপম হাজরা দেখা করা ঠিক হয় নি। যেখানে বীরভূমে প্রতিনিয়ত বিজেপি-র কর্মীরা অনুব্রত মণ্ডলের হাতে মার খাচ্ছে, সেখানে এই ঘটনায় বিজেপি-র নিচুতলার কর্মীদের মনোবল নষ্ট হতে পারে।”

যদিও, এই সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বলে ফেসবুকে পোস্ট করেন অনুপম হাজরা । ফেসবুকে তিনি লেখেন, “কারোর মা প্রয়াত হলে তাঁকে দেখতে যাওয়াটা সৌজন্য বোধের মধ্যে পড়ে । রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক দুটো আলাদা । দুটোকে এক করবেন না ।” উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের মা সপ্তাহখানেক আগে প্রয়াত হয়েছেন। সেই বিষয়ে তাঁকে সমবেদনা জানাতেই অনুপম দেখা করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।