মালদা

রাজ্যে সিপিএমের অবস্থা ক্ষীণ, তাই রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদের দুটি আসনই কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া উচিত

হক জাফর ইমাম, মালদা: রাজ্যে সিপিএমের অবস্থা ক্ষীণ। তাই রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদের দুটি আসনই কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া উচিত । আর যদি তা না হয়,  তাহলে ওই দুটি আসনে সিপিএমের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে কংগ্রেসের।  বৃহস্পতিবার মালদা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করার মুহূর্তে কালেক্টরেট বিল্ডিং-এর সামনে দাঁড়িয়ে একথা বলেছেন দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)।  তিনি বলেন,  রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে গতবারের নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। কাজেই  এবার এই আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত । পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনে বহু তৃণমূলীরা  কংগ্রেসে যোগদান করছেন ।সেখানেও কংগ্রেসের প্রার্থী দাঁড় করালে ভালো ফল হবে । এই দুটি আসনে আমরা দলীয় প্রার্থী দাঁড় করানোর জন্য হাইকমান্ডকে জানিয়েছি।  এখন বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই রয়েছে।কংগ্রেস সাংসদ ডালুবাবু এদিন বলেন, মালদার দুটি লোকসভা আসন এবং মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর ও বহরমপুর লোকসভা আসনে সিপিএম প্রার্থী দিচ্ছে না।  কিন্তু এর বাইরে রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনটিও কংগ্রেসের প্রার্থী যাতে হয় সেই দাবিও করা হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে হাইকমান্ড নেতৃত্ব সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। রাজ্যস্তরে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে । যদিও এব্যাপারে জেলাস্তরে কোনো আলোচনা হয় নি।
ডালুবাবু বলেন,  উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রে এবারে শক্ত লড়াই হবে । ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রয়েছেন মৌসম বেনাজির নুর । তিনি বর্তমানে সাংসদ রয়েছেন। বিজেপিও প্রার্থী দিচ্ছে ।  গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল অনেক আসন পেয়েছে। বিজেপিও বেশ কিছু পঞ্চায়েত নির্বাচনে দখল করেছে।  ফলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তৃণমূল এবং বিজেপি একটা বড় প্রতিদ্বন্দ্বী । তবে সিপিএমের অবস্থা কোথাও ভালো নেই । তাই অবস্থা  বুঝে তারা যেন কংগ্রেসকে সাহায্য করে সে কথা বলা হয়েছে ।