খেলা

৩৪ রানে জয়ী কেকেআর

কেকেআর: ২৩২/২(শুভমান-৭৬, লিন-৫৪, রাসেল-৮০*)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৯৮/৭ (সূর্যকুমার- ২৬, হার্দিক-৯১)
৩৪ রানে জয়ী কেকেআর

শেষ ছ’টা ম্যাচে কেকেআর জয়ের মুখ দেখেনি? ব্যাটিং-বোলিংয়ে ছন্নছাড়া অবস্থা হয়েছিল এই দলটারই? কিন্তু এই ম্যাচ জিতে কেকেআর একাই জমিয়ে দিল প্লে-অফের অঙ্কটা। এদিন দলে নিয়েছিলেন দুই পেসার গার্নি ও ওয়ারিয়েরকে। দ্বিতীয়জনকে অবশ্য ছাপিয়ে গেলেন নারিন ও রাসেল। দুটি করে উইকেট পেলেন তাঁরা। গার্নিও পান দুটি উইকেট। তবে ব্যাটিং লাইন আপে বদল ঘটিয়েই এ যাত্রায় পাশ করে গেলেন তিনি। রুদ্রমূর্তি রাসেলের কথা মাথায় রেখেই এই পরিবর্তন? জানা নেই। তবে যা হল, তাতে মন্দ কিছু হল না। লিনের সঙ্গে ওপেন করতে নামায় নিজেকে প্রমাণ করার অনেকটা জায়গা পেলেন তরুণ ব্যাটসম্যান শুভমান। সুযোগের সদ্ব্যবহারও করলেন। ৪৫ বলে অনবদ্য ৭৬ রান করে মালিঙ্গা-বুমরাহদের রীতিমতো ধন্দে ফেলে দিলেন তিনি। আর অর্ধ শতরান করে লিন আউট হতেই সকলকে অবাক করে তিন নম্বরে নেমে পড়লেন রাসেল। বিপক্ষের পেসারদের সমস্যায় ফেলে ভেলকি দেখালেন ব্যাটসম্যানরাই। ৪০ বলে ৮০ রানে অপরাজিত রইলেন রাসেল। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান তোলে কেকেআর।
২৩৩ রানের বিরাট টার্গেট চেজ করতে নেমে শুরুতেই পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। কুইন্টন ডি’কক(০), রোহিত শর্মা(১২), লুইস(১৫) এবং সূর্যকুমার যাদব (২৬) প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর হার্দিক পাণ্ডিয়া- কায়রন পোলার্ড জুটি টানতে থাকে মুম্বইকে। কিন্তু ২০ রানে আউট হলেন পোলার্ড। কিন্তু হার্দিক পাণ্ডিয়ার দুরন্ত ইনিংসে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল মুম্বই শিবির। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৯১ রান করে আউট হলেন হার্দিক। ৯টা ছক্কা আর ৬টা চারে সাজানো হার্দিকের ইনিংস। হারিদক আউট হতেই মুম্বইয়ের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান তোলে মুম্বই। নাইটদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রাসেল, গার্নে ও নারিন।