সন্ধ্যাতেই শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা। তারপর মধ্যরাতে প্রায় ১৮ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা শেষে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য (ডাকু)। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তারা বনগাঁর শিমুলতলার বাড়ি থেকে তাঁকে বের করলে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভ শুরু করে শঙ্করবাবুর অনুগামীরা। বাধা দেয় ইডি আধিকারিকদেরও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আসরে নামলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। ইডি আধিকারিক ও সিআরপিকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট বৃষ্টি। কাচের বোতলও ছোড়া হয়। ইটের আঘাতে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে সিআরপি। এরপর কোনওমতে শঙ্করকে গাড়িতে তুলে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় ইডি। রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। উল্লেখ্য, শুক্রবার কলকাতা সহ আশপাশের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী অফিসারা। ইডির আলাদা আলাদা টিম একযোগে হানা দিয়েছিল সকাল থেকে। তার মধ্যে ছিল বনগাঁও। বনগাঁর দাপুটে তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত শঙ্কর আঢ্যর সঙ্গে যোগ রয়েছে, এমন পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। হানা দেয় নেতার বাড়ি ও তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও। দীর্ঘক্ষণ অভিযানের পর সন্ধেয় শঙ্কর আঢ্যর শ্বশুরবাড়ি থেকে নগদ টাকার হদিশ পান তদন্তকারী অফিসাররা। এদিকে শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতেও সকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল ইডির পৃথক একটি টিম। পরিবারে দাবি, ব্যবসায়িক বিভিন্ন বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল তাঁকে। এরপরই রাত বাড়তেই আসে নাটকীয় মোড়। মধ্যরাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান।