কলকাতা

বাংলাতে ভোট লুঠের কেন্দ্রের চক্রান্ত মানতে পারেননি বলেই সরে যেতে হল, পদত্যাগী নির্বাচন কমিশনারকে স্যালুট মুখ্যমন্ত্রীর

ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারের ইস্তফার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। ফলে নির্বাচন কমিশনে রয়ে গেলেন একমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। কেন অরুণ গোয়েল পদত্যাগ করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেই কথা টেনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় বলেন, আমার প্রথম কথা গতকাল একজন নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। সংবাদপত্রে দেখলাম, বাংলার ওপরে কেন্দ্র যে লুট করার প্রচেষ্টা, জোর করে দখল করা যে চেষ্টা তা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাঁকে আমরা স্যালুট জানাই। ভোটের নামে কলঙ্ক করছে এরা। নিজের ল্যাজ নিজেই কাটছে। যে গাছের ডালে বসে আছে সেই গাছের ডালই কাটছে। বিজেপি বারবারে বলছে মোদীর গ্যারান্টি। সেই কথা টেনে মমতা বলেন, কীসের গ্যারান্টি! গ্যাসের দাম কতটা বেড়েছে? এক হাজার টাকার গ্যাসে জ্বলছে কত টাকার চাল! কোথায় আপানাদের গ্যারান্টি? আমরা ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বহু শ্রমদিবস তৈরি করেছি। ৫৪৪টি টিম পাঠিয়েছেন। কী পেয়েছেন? গত ৩ আর্থিক বছরে টাকাই তো দেননি। বাংলার মানুষ খাবে কী? আপনারা টাকা দেননি। না দিয়েই বলছেন খেয়ে ফেলেছে! আমি বলি মোদীবাবু তথ্য় যাচাই করে নিন। গত কয়েক বছর ৪৩ হাজার বাড়ি তৈরি করে দিয়েছিলাম। সেই টাকা এখনও দেননি। আপনারা যদি  টাকা না দেন তাহলে আমরাই ১১ লাখ লোকের বাড়ি তৈরি করে দেব।গতবার বিজেপির ফলাফল তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮টা সিটে তো বিজেপি জিতেছিল। সেই ১৮টি সিট ধরে দেখানে আপনারা কী করেছেন সেখানে। মেট্রো আমার প্রকল্প। এখন উনি এসে ফিতে কাটছেন। সব বন্ধ করে দিয়েছে বাংলার। আমাদের টাকা নিয়ে যাচ্ছে আর আমাদের পাওয়া টাকা আমাদের টাকা ফেরত দিচ্ছ না। আমারাই করব ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, গঙ্গাসাগর সেতু। উত্তরবঙ্গের মানুষেদের বলি, সব সম্প্রদয়ারে মানুষকে বলি  আপনাদের সঙ্গে আছি। মতুয়া ভাইবোনরা আধার কার্ড কেটে গিয়েছিল। আমরা গর্জে উছেছি। তার পর ওরা থমকে গিয়েছে। চিত্কার করে বলুন আধার কার্ড বাতিল চলবে না। এনআরসি চলবে না। আমরাই আমাদের টাকা দিয়ে একশা দিনের কাজ করব। আপনারা যদি আমাজদের না জেতান, গর্জন না করেন তাহলে ওই টাকা আসবে কোথা থেকে? ১৮টি সিটে বিজেপিকে দিয়েছিলেন। কোনও কাজ করেনি। বিজেপি নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসে একশো দিনের টাকা দেবেন না। রাস্তার টাকা দেবেন না। আপনারা বলুন একশো দিনের টাকা নেই, তো ভোট নেই।