জেলা দেশ

দিল্লিতে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ল গরু পাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা এনামূল হক

আজ সকালেই জানা গেছে দিল্লিতে সিবিআই কর্তাদের হাতে ধরা পড়েছে গরু পাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা তথা মাথা এনামূল হক। সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও সিবিআই এনামুলকে গ্রেফতার করেছিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কামান্ডান্টকে ঘুষ দেওয়ার মামলায়। ঘুষ মামলায় ধৃত কেরলের বাসিন্দা এবং বিএসএফের কমান্ডান্ট জিবু ডি ম্যাথিউয়ের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়েই সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পারেন এনামুল হক এবং তাঁর গরু পাচারের সিন্ডিকেটের কথা। এই এনামূলের সঙ্গেই যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের। দুইয়ের যোগসাজসে গরু পিছু দুই হাজার টাকায় চলতো গরু পাচারের কাজ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। গতকালই যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলার বুকে রাজনৈতিক কর্মসূচী চালাতে ব্যস্ত ছিলেন তখন সিবিআই ব্যস্ত ছিল খাস কলকাতার বুকে একের পর এক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে। সেই তল্লাশি সূত্রেই দিল্লির বুকে এনামূল কোথায় লুকিয়ে আছেন সেই সূত্র পেয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। এরপর এদিন সকালেই দিল্লিতে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ে এনামূল। সেই খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশের একটি টিম দিল্লির পথে রওয়ানা দিয়েছে তাকে বাংলায় ফিরিয়ে এনে বিচার করার জন্য। কিন্তু সূত্রে খবর, এনামূলকে এখনই বাংলায় ফেরাতে চান না সিবিআই কর্তারা। বরঞ্চ তাকে নিজেদের হেফাজতে রেখেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর আধিকারিকেরা। অন্য একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এনামুলকে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে।

এমনিতেই বাংলায় কোন না কোনও ভোট এগিয়ে এলেই নানান মামলার সূত্রে রাজনৈতিক আক্রমণে নামে সিবিআই। ডেকে পাঠানো হয় শাসক দলের নেতামন্ত্রীদের। বেশ কিছু জায়গায় হানাদারির ঘটনাও ঘটে। আর বাছাই করা কিছু নেতাদের পিছনে তাঁরা পড়ে যান যাদের কার্যত চাপে রাখলে রাজনৈতিক ভাবে কেন্দ্রের শাসক দল কিছু বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাবে। এবারেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়েছে বলে গতকাল থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার গরুপাচারকাণ্ডে কলকাতার ৪টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। অন্যদিকে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল-দুর্গাপুরে কয়লা পাচার চক্রের খোঁজ চালিয়েছে আয়কর দফতর। তখনই বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে নিয়ে মমতা প্রতিক্রিয়া দেন, ”স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাঁকুড়ায় নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছে। পাশাপাশি তিনটে জেলায় চলছে তল্লাশি। কী প্ল্যানিং বাপরে বাপ! ট্রাম্পকেও হারিয়ে মানিয়ে দেবে। অবশ্য ট্রাম্প হেরে যাচ্ছে।”