দেশ

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ, জখম ২ পুলিশ আধিকারিক, চলছে গুলির লড়াই

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ৷ গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন দুই পুলিশ আধিকারিক ৷ প্রসঙ্গত, গত চারদিন ধরে ব্যাপক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে উপত্যকায় । রবিবার হীরানগর সেক্টরে সংঘর্ষস্থল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে জাখোল গ্রামের কাছে নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের দেখতে পেলে গুলির লড়াই শুরু হয় । সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্দেহভাজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের মধ্যে যে এলাকায় গুলিবর্ষণ চলছে, সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে । সেনাবাহিনীর ধারণা, সন্ত্রাসীরা একই দলের যারা গত রবিবার সন্ধ্যায় হীরানগর সেক্টরে সংঘর্ষের পর পালিয়ে গিয়েছিল । রবিবারের ওই সংঘর্ষের পর থেকে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, এনএসজি, বিএসএফ এবং সিআরপিএফ ৷ প্রযুক্তিগত ও নজরদারি সরঞ্জামে সজ্জিত হেলিকপ্টার, ইউএভি, ড্রোন, বুলেটপ্রুফ যানবাহন এবং স্নিফার কুকুরের সহায়তায় তল্লাশি অভিযান চলছে । সেনাবাহিনী বলছে, শনিবার সন্ত্রাসবাদীরা উপত্যকার পথ দিয়ে অথবা সীমান্তের ওপার থেকে নতুন তৈরি সুড়ঙ্গপথ দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে । সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ২২ মার্চ কমপক্ষে ৫-৬ জন সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল । ২৩ মার্চ সেনা আধিকারিকরা জানান, কাঠ সংগ্রহকারী কিছু মহিলা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে সান্যাল গ্রামের নার্সারি এলাকায় পাঁচ সন্ত্রাসীকে আশ্রয় নিতে দেখেছেন । খবর পেয়ে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের একটি পুলিশ দল তল্লাশি অভিযান শুরু করে ৷ যদিও গুলির লড়াইয়ের পর সন্ত্রাসবাদীরা পালিয়ে যায় ৷ সোমবার (২৪ মার্চ) হীরানগরে সংঘর্ষস্থলের কাছে নিরাপত্তা বাহিনী চারটি লোডেড এম৪ কার্বাইন ম্যাগাজিন, দু’টি গ্রেনেড, একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, স্লিপিং ব্যাগ, ট্র্যাকস্যুট, বেশ কয়েকটি খাবারের প্যাকেট এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস তৈরির জন্য ব্যবহৃত পৃথক পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করে ।