মুম্বইয়ে অনিল আম্বানির সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অভিযানের তৃতীয় দিন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একজন কর্তা জানিয়েছেন যে, বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রচুর নথি এবং ডিজিটাল প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে। আসলে ৩০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতি এবং বেশ কয়েকটি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের সূত্র ধরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অনিল আম্বানির কিছু কোম্পানি স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, ইডির পদক্ষেপ তাদের বর্তমান ব্যবসায়ের উপর কোনও প্রভাব ফেলেনি। ২৪ জুলাই থেকে, ইডি মুম্বইয়ের বিভিন্ন স্থানে অনিল আম্বানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানি এবং কর্মকর্তাদের উপর তল্লাশি চালিয়েছে। মোট ৩৫টিরও বেশি স্থানে তদন্ত চলছে। এই স্থানগুলি প্রায় ৫০টি কোম্পানি এবং ২৫ জন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। রিলায়েন্স গ্রুপের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তাও এর মধ্যে রয়েছেন। পিএমএলএ (মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন) এর অধীনে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থার মতে, এই মামলাটি ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে অনিল আম্বানি গ্রুপের কোম্পানিগুলিকে দেওয়া প্রায় ৩০০০ কোটি টাকার ঋণের সঙ্গে সম্পর্কিত। অভিযোগ করা হচ্ছে যে ইয়েস ব্যাঙ্ক যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এই ঋণ দিয়েছে এবং এই অর্থ পরে বেশ কয়েকটি গ্রুপ কোম্পানি এবং শেল কোম্পানিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর সঙ্গে, এটিও প্রকাশ পেয়েছে যে, ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রোমোটাররা ঋণ অনুমোদনের আগে কিছু টাকা পেয়েছিলেন, যার কারণে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এই ঋণ দেওয়া হয় বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সিবিআই-এর দুটি এফআইআর এবং সেবি, ন্যাশনাল হাউজিং ব্যাঙ্ক (এনএইচবি), ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি (এনএফআরএ) এবং ব্যাঙ্ক অফ বরোদার শেয়ার করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইডির এই পদক্ষেপ। এই প্রতিবেদনগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, জনসাধারণের অর্থ সংগঠিতভাবে অপব্যবহার করা হয়েছিল। ইডি বর্তমানে একটি বড় অভিযোগের তদন্ত করছে, যেখানে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ১০০০০ কোটি টাকার ঋণ লেনদেনের কথা বলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, কিছু অঘোষিত বিদেশী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তিও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এরই সঙ্গে, রিলায়েন্স মিউচুয়াল ফান্ডের AT-1 বন্ডে ২৮৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগের বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে, যেখানে ‘কুইড প্রো কো’ (ডিলের বিনিময়ে চুক্তি) হওয়ার সম্ভাবনা উঠে আসছে।


