আজ আজ যখন মেলবোর্নের মাঠে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৩৭ রানে আটকে দিল ইংল্যান্ড, তখনই বোঝা গিয়েছিল এই ম্যাচ পাকিস্তানের হাত থেকে সরে গিয়েছে। ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা। পাকিস্তানের জিততে গেলে একমাত্র রাস্তা ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইংল্যান্ডের দ্রুত কয়েকটা উইকেট তুলে নেওয়া। প্রথম ওভারের শেষ বলে হেলসকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন শাহিন। কিন্তু বাটলার খেলাটা ধরে ফেলেন। চতুর্থ ওভারে এসেই আবার ইংল্যান্ড শিবিরে ধাক্কা দেন হ্যারিস রউফ। সল্ট (১০) করে ফিরে যান ইফটিকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। নাসিম শাহ অফস্টাম্প লাইনের পাশে বেশ কিছু ভাল বল করলেন। কিন্তু বাটলার বেশ কয়েকবার বিট হলেও আউট হলেন না।তবে হ্যারিস রউফ এই মাঠের উইকেটের সঙ্গে পরিচিত দারুণভাবে। ষষ্ঠ ওভারে দারুণ একটা বলে বাটলারকে (২৬) আউট করলেন রউফ। ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৪৯/৩। ব্রুকস এবং বেন স্টোকস তাড়াহুড়ো না করে সাবধানে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের ইনিংস। পাকিস্তানের টোটাল এতটাই কম ছিল যে নিয়মিত উইকেট পতনের দরকার ছিল। শাদাব খান ভাল বল করলেও উইকেট পেলেন মাত্র একটি। ব্রুকস (২০) ফিরে গেলেন শাহিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এলেন মইন আলি। ভাগ্য খারাপ নাসিম শাহের। এদিন দুর্দান্ত বল করেও সাফল্য পেলেন না। হ্যারিস রউফ বেন স্টোকসর সহজ রান আউট মিস করলেন। শেষ পাঁচ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। কিন্তু বল করতে এসে মাত্র একটি বল করে ফিরে যেতে হল শাহিন আফ্রিদিকে। ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পান তিনি। বাকি ওভার শেষ করতে হল ইফতিকারকে। একটি বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মেরে ইংল্যান্ডের কাজ সহজ করে দিলেন বেন স্টোকস। এরপর ওয়াসিমের পর পর দুই বলে বাউন্ডারি মারলেন মইন আলি। এরপর তিনি আউট হয়ে গেলেও বেন স্টোকস অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি করে চ্যাম্পিয়ন করলেন ইংল্যান্ডকে।