ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ ব্যানার্জিকে দিল্লি থেকে হাওড়ায় নিয়ে এল পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জগাছা থানায়। ধৃত শুভদীপ ব্যানার্জিকে আজ তোলা হবে হাওড়া আদালতে। দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট থেকে ৩ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে ধৃত শুভদীপ ব্যানার্জিকে। প্রসঙ্গত, দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে লুকিয়ে ছিল ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ ব্যানার্জি। আর সেই পাঁচতারা হোটেলেই তল্লাশি চালায় জগাছা থানার পুলিশ। সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন ধৃত শুভদীপ ব্যানার্জি। উল্লেখ্য, ২ দিন আগেই খবরে সম্প্রচারিত হয় এই খবর। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন সেই কথা স্বীকার করেন শুভদীপ ব্যানার্জি। নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিত সে। ধৃত শুভদীপের মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ট্র্যাক করতে থাকে জগাছা থানার পুলিশ। জগাছা থানার পুলিশের সঙ্গে ছিল হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারাও। সেইমতো গতকাল রাতেই দিল্লি পৌঁছোয় হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা এবং জগাছা থানার পুলিশ। মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ট্র্যাক করেই দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে যান জগাছা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। আর সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ ব্যানার্জিকে। ধৃত শুভদীপ ব্যানার্জিকে আজই তোলা হবে হাওড়া আদালতে। বছর ২৬-এর ধৃত শুভদীপ ব্যানার্জি সিবিআই অফিসার সেজে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাতেন। টাকা আদায় করতেন। চাকরির ইন্টারভিউ নিতেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে বলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন। সিবিআই অফিসার ছাড়াও নিজেকে সেনাকর্মী, রেলের ভিজিল্যান্স অফিসার বলেও দাবি করতেন শুভদীপ ব্যানার্জি। নীলবাতি লাগানো গাড়িতে চনে ঘুরে বেড়াতেন। সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়েই বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর স্ত্রী জানতে পারেন যে শুভদীপ একজন ভুয়ো সিবিআই অফিসার। তারপরই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন তার স্ত্রী।