প্রথমে তিন মাসের শিশুপুত্রকে শ্বাসরোধ করে খুন। তারপর নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো বাবার বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মন্তেশ্বর ব্লকের শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের পানবড়েয়া গ্রামে। যদিও এদিন রাত পর্যন্ত ওই শিশুর কোনও সন্ধান মেলেনি।অন্য বছরের মতো এবারও ঝাড়খণ্ড থেকে বেশ কয়েকজন আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা ধান চাষের জন্য এই এলাকায় এসেছেন। এর মধ্যে এক যুবকের ঝাড়খণ্ডে স্ত্রী ও দুটি সন্তান আছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মন্তেশ্বর এলাকাতেও সে একজন মহিলার সঙ্গে সংসার পেতেছে বলে খবর। আর সেই খবর পেয়ে তার প্রথম স্ত্রী তিন মাসের সন্তানকে নিয়ে পানবড়েয়া গ্রামে আসে।সেখানে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি বেধে যায়। সেই সময় তার প্রথম স্ত্রী তিন মাসের ছেলেকে স্বামীর কাছে রেখে কোনও একটি জায়গায় যান। কিছুক্ষণ পরে ঘুরে এসে দেখে শিশুটি নেই। জিজ্ঞাসা করতে তার স্বামী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। তখন ওই মহিলার চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তারা ওই যুবককে ধরে মারতে থাকে ৷এরপরই সে স্বীকার করে, শিশুটিকে সে শ্বাসরোধ করে খুন করে খড়ি নদীর জলে ফেলে দিয়েছে। এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হলে পুলিশ ওই আদিবাসী যুবককে আটক করে। নদীতে তল্লাশির জন্য স্থানীয় জেলেদের নামানো হয়। তবে রাত পর্যন্ত কোনও সন্ধান মেলেনি। শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের সদস্য ভোলানাথ ঘোষ বলেন, “প্রত্যেক বছরই ঝাড়খণ্ড কিংবা আশেপাশের এলাকা থেকে আদিবাসী মানুষজন চাষের কাজে এই গ্রামে আসেন। তেমনই এক পরিবারের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সে নিজেই তার তিন মাসের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নদীর জল জলে ফেলে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।”