কলকাতা

বাইরে থেকে লোক এনে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছেঃ ফিরহাদ হাকিম

অশান্তি, বিক্ষোভ ও হিংসার ঘটনায় শনিবার ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার পয়গম্বর বক্তব্যে ৩ দিন ধরে উত্তেজিত হাওড়া। গত ২ দিনে হিংসার ঘটনায় প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিংসা বন্ধ করতে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্যে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারকে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্যের বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ৩ দিন ধরে। এদিন ফিরহাদ প্রশংসা করেন পুলিশের। বলেন, হিংসা বন্ধ করতে পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখ্য, নবান্ন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। জানা গিয়েছে, হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এগুলোর কোনটাই প্রিভেনটিভ অ্যারেস্ট নয়। ধৃতদের নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ- এই ধরণের অপরাধের কারণে চিহ্নিত করে করে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রত্যেককে। অপরাধ করেনি এমন কাউকে পরবর্তীকালে অপরাধ করতে পারে এই সতর্কতা অবলম্বন করে গ্রেফতার করা হয়নি। জানা গিয়েছে, গত ২ দিনে প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, উস্কানি থেকে বিরত থাকুন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার।ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, এই হিংসাত্মক ঘটনার পেছেনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে। তিনি বলেন, বাংলা সম্প্রীতির পীঠস্থান। তা নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তা করতে দেবে না রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লিখেছেন, ‘শান্তি নষ্ট হতে দেবেন না। গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। মিথ্যা খবর সম্পর্কে নিকটবর্তী থানায় জানান’। সেই সঙ্গে পোস্ট করেছেন বিশেষ ছবি। হ্যাজট্যাগ দিয়ে লেখা, ‘সত্যের সাথে সুরক্ষার সাথে’, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ ফর ইউ’। ট্যাগ করেছেন রাজ্য পুলিশের অ্যাকাউন্ট। শান্তি রক্ষা করার বার্তা দিয়ে তিনি ক্যাপশন লিখেছেন, মিথ্যা খবর জানতে পারলেই তা স্থানীয় থানায় জানাতে। শনিবার রাজ্য পুলিশের তরফে একটি টুইট করেন ডিজি। সেখানে দুটি আপেলের উল্লেখ করেন। একটি শুকনো, পচে যাওয়া। আরেকটি তাজা আপেল। এখানে ফলটি প্রতীক। তাজা আপেলকে তিনি ‘বাস্তব’ হিসেবে তুলে ধরেন। আর শুকনো আপেলটি ‘গুজব’। বোঝাতে চেয়েছেন, পচা আপেলের সঙ্গে কখনও টাটকা আপেল রাখতে নেই। তাহলে তা ঝুড়ির বাকি আপেলগুলিকেও নষ্ট করে দেবে। অর্থাৎ একটি গুজব থেকে জন্ম নেবে হাজার হাজার গুজব, যা শেষমেশ শান্তি নষ্ট করে, অশান্তিতে ইন্ধন জোগায়। ডিজি মালব্য লিখেছেন, ‘‘শান্তি নষ্ট হতে দেবেন না। গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। মিথ্যা খবর সম্পর্কে নিকটবর্তী থানায় জানান।’’ রাজ্য পুলিশের টুইটটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এতেই স্পষ্ট, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ মহলের যেমন চিন্তা রয়েছে, তেমনই জনসচেতনতা নিয়েও উদ্যোগী পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা।