বাঁকুড়ায় বন দফতরের হাতে অবশেষে ধরা পড়ল বুদ্ধিমতী এই বাঘিনী । সাতদিন ধরে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াবাসীকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে সে । অবশেষে বাঁকুড়ায় রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ জিনাতকে ট্রাঙ্কুলাইজ করা হয় । বাঁকুড়ার মুখ্য বনপাল এস কুলানডাইভেল বলেন, “ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট মনে রাখবে জিনাতকে । গুলি করার ঠিক ৩০ মিনিট পর বনদফতর সূত্রে খবর এল যে, বাঘিনী জিনাতকে খাঁচায় ঢোকানো সম্ভব হয়েছে ।” ওড়িশা, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া বনদফতরের যৌথ প্রচেষ্টায় রবিবার বিকেলেই জিনাত নাটকের অবসান দেখল বাঁকুড়া তথা বাংলার মানুষ । বন দফতর সূত্রে খবর, শনিবার রাতে জিনাত ছিল বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহিতে ৷ রাতেই বাঘিনীকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়েন বন দফতরের আধিকারিকরা ৷ তাতেও বাগে আসেনি জিনাত ৷ তাকে কাবু করতে রবিবার ফের গুলি ছুড়তে হয় ৷ তাতেই বন দফতরের খাঁচাবন্দি বাঘিনী ৷ প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর ওড়িশার টাইগার রিজার্ভ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল জিনাত ৷ ৩ বছর বয়সি বাঘিনীর গলায় থাকা রেডিয়ো কলারের সঙ্কেত থেকে জানা যায়, সে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানা এলাকার কাঁকড়াঝোড় জঙ্গলে চলে এসেছে ৷ এরপর তার খোঁজ শুরু হয় ৷ তাকে খুঁজতে থাকেন বাংলা-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বনদফতরের আধিকারিকরা ৷ তবে একাধিক পদক্ষেপ সত্ত্বেও জিনাতকে বাগে আনা সম্ভব হয়নি । অবশেষে সুন্দরবনের বনকর্মীদের ডেকে পাঠানো হয় ৷ লাভ হয়নি তাতেও ৷