সিবিআইয়ের অধিকর্তার পদ থেকে অলোক বর্মাকে সরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা বাদেই তাঁর ফোনে আড়িপাতা শুরু হয়। সময়টা ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর। বাদ যাননি তাঁর স্ত্রী, কন্যা এবং জামাইও। পেগাসাসের নজরদারিতে ছিল রিলায়েন্স এডিএ গোষ্ঠীর কর্ণধার অনিল অম্বানি,সিবিআইয়ের প্রাক্তন দুই শীর্ষ কর্তা রাকেশ আস্থানা ও একে শর্মাও। তদন্তকারী সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠীর রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। নিউজ ওয়েবপোর্টাল ‘দ্য ওয়্যার’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপসারিত সিবিআই অধিকর্তা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয় সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি নিয়ে কী গোপন তথ্য ফাঁস করেন, সেই সমস্ত বিষয়ে নজরদারি রাখতেই ফোনে আড়ি পাতা শুরু হয়। এছাড়াও একই সময়ে সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক বর্মার ডেপুটি রাকেশ আস্থানার ফোনও ট্যাপ করা হয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ। এছাড়াও তালিকায় ছিল আরেক সিবিআই আধিকারিক একে শর্মা। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্মা নিজের পদ থেকে অবসর নেন। এরপরই তালিকা থেকে তাঁর নাম মুছে দেওয়া হয়। যদিও কেন্দ্র আড়িপাতার জন্য পেগাসাস স্পাইওয়্যারের ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে।