গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগটি এনেছেন সেরাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তাঁর দাবি, গোয়া সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি কাজেই দুর্নীতির ছাপ রয়েছে। এর প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে গোয়ার রাজ্যপাল পদ থেকে সরিয়ে মেঘালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সত্যমাল মালিকের দাবি, লকডাউনের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাঠ বন্ধের নেপথ্যের কারণও দুর্নীতি। বেসরকারি সংস্থার চাপেই সেসময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন বিলির পরিকল্পনা করেছিল গোয়া সরকার। নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস আগে সত্যপাল মালিকের এই অভিযোগ একেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো আছড়ে পড়েছে গোয়ার রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রীতিমতো সুর চড়াচ্ছে সেরাজ্যের রাজনীতিতে সদ্য পা রাখা তৃণমূল। তাঁদের সাফ দাবি, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তকে পদত্যাগ করতে হবে। শুধু তাই নয়, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে পুরো ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। এই দাবিতে আজ গোয়ার বর্তমান রাজ্যপাল শ্রীধরণ পিল্লাইয়ের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল। সৌগত রায়, বাবুল সুপ্রিয়, লুইজিনহো ফ্যালারিওর মতো হেভিওয়েটরা সেই প্রতিনিধিদলে থাকবেন। অবিলম্বে সাওয়ান্তের ইস্তফার দাবিতে গোয়ার রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। গোয়ায় তৃণমূলের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগেও সরব হবেন তৃণমূল নেতারা। ডেরেকের দাবি, এই অভিযোগ সামনে আসার পর বিজেপির উচিত ছিল গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া ৷ তা না করে, উল্টে বদলি করা হল সত্যপাল মালিককে ৷ তাঁর বক্তব্য, স্বাধীনতার পরে এই ধরনের গুরুতর ঘটনা আর ঘটেনি, যেখানে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন একটি অভিযোগ করেছেন ৷ প্রসঙ্গত, আগামী 28 অক্টোবর গোয়া সফরে যাওয়ার কথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ তার জন্য ওই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার দিয়েছিল তৃণমূল ৷ কিন্তু মঙ্গলবার সকালে অধিকাংশ জায়গায় সেই ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ডেরেক ৷ মঙ্গলবার সকালে এই নিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন তিনি ৷