কলকাতাঃ কলকাতার আনন্দ পালিতের শিল লেনের দাস বাড়িতে শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো। এই বাড়ির পুজোর বৈশিষ্ট্য হল, পিতৃপক্ষের কৃষ্ণা নবমীর আর্দ্রা নক্ষত্র থেকে নিয়ম মেনে দেবীর আরাধনা শুরু হয়। যা এবারেও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবারে আশ্বিন মাস মল মাস হয়ে যাওয়ায় মহালয়া পর্যন্ত এ বাড়ির আরাধনা চলবে শাস্ত্র মতে। তারপর এক মাস ধরে হবে নিত্য পূজা। প্রত্যেক বছর এই বাড়ির দুর্গা পুজো শুরু হয় ১৬ দিন আগে কৃষ্ণপক্ষের নবমীতে। কিন্তু এবার মলমাস পড়ে যাওয়ায় তিথি অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। যার ফলে শুক্রবারেই এই বাড়ির দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হল। এরপর মহালয়া পর্যন্ত পৌরাণিক নিয়ম মেনেই হবে পুজো। মহালয়া থেকে প্রতিপদ পর্যন্ত নিত্য পূজা প্রতিপদ থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত বিশেষ পুজো হবে। সপ্তমী নবমী পর্যন্ত হবে মহা পুজো। এই বাড়ির অন্যতম সদস্য তথা পুজো উদ্যোক্তা প্রসেনজিৎ দাস জানান, অন্যত্র রঘুনন্দন তত্ত্ব অনুসারে পুজো করা হয়। রঘুনন্দন যেমন একজন স্মৃতিকার তেমনি আরেকজন স্মৃতিকার হলেন শূলপানি। বৃহৎ নন্দিকেশ্বর পুরাণ অনুসারে তাঁর দুর্গোৎসব বিবেক গ্রন্থমতে পুজো হওয়া উচিত কৃষ্ণা নবমী থেকে শুক্লা নবমী পর্যন্ত সেই রীতি মেনেই তাঁদের বাড়ির পুজো সম্পন্ন হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবছর পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিমা থেকে পুজোর সরঞ্জাম সবকিছুই জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। প্রসাদ হিসাবে গোটা ফল উৎসর্গ করা হবে। দূরত্ব বিধি মেনে পুজো করবেন পুরোহিত। পুজোয় উপস্থিত বাড়ির সব সদস্যদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বেশকিছু নিয়মেও কাটছাঁট করা হয়েছে। পুজো মণ্ডপে ঢোকার মুখেই লাগানো হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশিকা। ঢোকার মুখে সবারই হাত জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।এই বছর কৃষ্ণ নবমী ১১ সেপ্টেম্বর আর শুক্লা নবমী অর্থাৎ আরাধনার মহানবমী ২৫ অক্টোবর। বিজয়া দশমী ২৬ অক্টোবর। অর্থাৎ টানা ৪৬ দিন মানে দেড় মাস মা দুর্গা তাঁদের বাড়িতে অধিষ্ঠান করে কৈলাসের পথে রওনা দেবেন। মা এক দীর্ঘ সময় আমাদের মধ্যে অবস্থান করবেন।