বিহারের গয়ায় হোমগার্ড পদে নিয়োগের জন্য শারীরিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে ‘গণধর্ষণের শিকার’ হয়েছিলেন তরুণী ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে 14 দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত ৷ জানা গিয়েছে, শারীরিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন তরুণী ৷ এরপর হাসপাতালের পথে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ৷ তরুণীর দাবি, অ্য়াম্বুলেন্সে থাকা তিন-চারজন তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন করেছে ৷ ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের দু’জনকেই 14 দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। শনিবার জেলা আদালতে দুই অভিযুক্তকে পেশ করে পুলিশ ৷ এরপর আদালত তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। গয়ার পুলিশ সুপার রামানন্দ কুমার কৌশল জানিয়েছেন, নির্যাতিতা ধৃত দু’জনকেই চিহ্নিত করেছেন ৷ তার মধ্যে আছে অ্যাম্বুলেন্সের চালক বিনয় কুমার ৷ সে গয়া জেলার উত্তরণ কোচের বাসিন্দা ৷ তার পাশাপাশি নালন্দার চাঁদপুরের বাসিন্দা পেশায় টেকনিশিয়ান অজিত কুমারকেও চিনতে পেরেছেন নির্যাতিতা ৷ শুক্রবার বিকেলে বিএমপি-3 ক্যাম্পাসে হোমগার্ড নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা ৷ শারীরিক পরীক্ষার সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে যান ৷ এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অভিযোগ, মগধ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা তাঁকে গাড়িতেই গণধর্ষণ করে। ওই সময়, অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ব্যক্তিদের, মধ্যে চালক এবং একজন টেকনিশিয়ানও ছিল ৷ নির্যাতিতাকে অজ্ঞান অবস্থায় যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। এসপি কৌশল আরও বলেন, “আমরা নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছি ৷ সেখানেই গণধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে ৷” তিনি জানান, মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে ৷ দ্রুত বিচারের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। ইমামগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা জ্ঞান ফিরে আসার পর জানিয়েছেন, ঘটনার সময় গাড়িতে তিন থেকে চারজন লোক ছিল।” গয়ার এসডিপিও পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে সিট এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণও সংগ্রহ করেছে বলে খবর ৷ বাকি সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি অভিযানও চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ৷ বিহারে, বিশেষ করে সরকারি কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়, নারীদের নিরাপত্তার উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার বক্তব্য এবং বর্তমান তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ মোটের উপর নিশ্চিত এই ঘটনার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত ছিল ৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷


