জেলা

ভিড়ে ঠাসা ঘাটালের জনসমুদ্র, দেব-গড়ে অভিষেকের ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’-এর প্রতিশ্রুতি

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরু করবে রাজ্য। ঘাটালের রোড শো শেষে জনজোয়ারের মধ্যে দলীয় প্রার্থী তথা সাংসদ দেবকে পাশে নিয়ে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এবারে লোকসভা নির্বাচনে ঘাটালে প্রধান ইস্যু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। ‘ভাই’ দেবের আবদার মেনে কেন্দ্র টাকা না দিলে, সেই টাকা রাজ্যের তরফের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার, ঘাটালে দলীয় প্রার্থী দীপক অধিকারীর সমর্থনে রোড শো শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শুরু হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। একই সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেব না জিতলে, ১০০ বছরেও এই কাজ শুরু হবে না। কারণ, কেন্দ্র এই কাজের টাকা দিচ্ছে না।রোড শো শেষে নিজের বক্তব্যে অভিষেক জানান, “সাংসদ হিসেবে গত ১০ বছরে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য অনেক চেষ্টা করেছে দেব। কিন্তু কাজ হয়নি। দেব আমার কাছে এসে সেই কথা জানায়। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, দেবের কথায় যুক্তি আছে। তারপরই হুগলির সভা থেকে দেবকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমরা আর একমাস দেখব। কিন্তু তারপরও যদি কেন্দ্র টাকা না দেয়, তাহলে রাজ্য সরকারই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রুপায়ণ করবে।“এরপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এজেন্সিরাজের অভিযোগ তুলে বলেন, যে দিন দেব বলল, “দল যেখান থেকে বলবে, আমি সেখান থেকে লড়ব। তার পরদিনই ওঁকে ইডি ডেকে পাঠালো।“ তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “গরিব মানুষের কথা বললেই এজেন্সি দিয়ে ডাকা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু ছবিতে যাঁদের টাকা নিতে সবাই দেখল, তাঁদের নাম এজেন্সির মনে পড়ে না।উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে অভিষেকের বার্তা, “বিজেপি এলে তাঁদের দুটো প্রশ্ন করুন। প্রথম প্রশ্ন করুন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়ার কথা। ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর নেতৃত্বে সরকার চলছে। কিন্তু সেই টাকা দেয়নি কেন?একই সঙ্গে কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়েও তুমুল আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়য়, ২০১৯ সালের তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর নেতৃত্বে কলকাতায় ভাঙা হয়েছিল বিদ্যাসাগরের মূর্তি। বিজেপির গুণ্ডারা শীর্ষ নেতাদের মদতে এই কাজ করেছিল। “বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি যারা ভেঙেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি“ বিজেপি প্রচারে এলে প্রশ্ন করার পরামর্শ অভিষেকের।