উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে প্রেমিকের গলার নলি কেটে খুন করল প্রেমিকা। খুনের পর ট্রলি ব্যাগে প্রেমিকের মৃতদেহ ভরে পালানোর সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই যুবতী। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকের দেহ লোপাটের মতলবে ছিল সে। কিন্তু, তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীটির নাম প্রীতি শর্মা। সে ফিরোজ নামে পেশায় নাপিত এক যুবকের সঙ্গে লিভ-ইন করত। পাড়া-প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুজনে বছর চারেক ধরে একসঙ্গে থাকতেন। কিন্তু, বেশ কিছুদিন ধরে প্রীতি বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ফিরোজকে। তাতে ফিরোজ রাজি ছিলেন না। গত ৭ অগাস্ট ঝামেলা হাতের বাইরে চলে যায়। রাগের মাথায় আচমকাই প্রীতি একটি ক্ষুর নিয়ে ফিরোজের গলায় চালিয়ে দেয়। রক্তাক্ত ফিরোজকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ফ্ল্যাটেই লুকিয়ে রাখে সে। এরপর প্রীতি লাশ গায়েব করতে বুদ্ধি ফাঁদে। তখন সে বাজারে গিয়ে একটি বড় ট্রলি ব্যাগ কিনে আনে। সেই ব্যাগে ফিরোজের লাশ ঢোকায়।রবিবার সকালে দিল্লির সিলামপুর এলাকায় যায় ব্যাগ কিনতে। ব্যাগ কিনে ফিরে এসে ফিরোজের লাশটিকে একটি পাতলা প্ল্যাস্টিকের দড়ি দিয়ে বাঁধে এবং ট্রলি ব্যাগের মধ্যে ভরে। সেদিনই দুপুর ২টো নাগাদ ব্যাগটি নিয়ে গাজিয়াবাদ স্টেশনের দিকে রওনা দেয়। তার হাবভাব দেখে টহলরত পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন ব্যাগ খুলে দেখাতে বললে প্রীতির অভিসন্ধি ফাঁস হয়ে যায়। তার ইচ্ছে ছিল গাজিয়াবাদ স্টেশনের কোনও ট্রেনের খালি কামরায় ব্যাগটি রেখে আসার।