কলকাতা

মণীশ হত্যায় বিজেপি-র স্বাধীন তদন্তের দাবি নিয়ে টুইট রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনকড়ের

ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার মৃতদেহ নিয়ে শহরের রাজপথে তাণ্ডব বিজেপি নেতৃত্বের। সোমবার সন্ধ্যায় এনআরএস হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বের করে ব্যারাকপুরে যাওয়ার পরিবর্তে মণীশ শুক্লার শববাহী শকট-সহ বিজেপি নেতৃত্ব রাজভবনের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। এরপরেই কলকাতা পুরসভার সামনে এলিট সিনেমার কাছেই বিশাল পুলিশবাহিনী এই কনভয় আটকে দেয়। কনভয়ের গতিপথ পরিবর্তন হতেই সতর্ক হয়ে পড়ে পুলিশবাহিনী। এরপর বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডিসি সেন্ট্রালের তুমুল বিতণ্ডা চলে। পরে প্রায় আধঘণ্টা আলোচনার পর দু’পক্ষই রফাসূত্রে আসেন। ঠিক হয় অর্জুন-সহ বিজেপির চার প্রতিনিধি রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। কিন্তু দেহ থাকবে ধর্মতলায় এলিট সিনেমার সামনেই। সেই মতো অর্জুন, লকেটের সঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও সব্যসাচী দত্ত রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই ঘটনার জেরে সমগ্র মধ্য কলকাতায় বিরাট যানজট হয়ে যায় সন্ধ্যা থেকেই। এই প্রতিনিধি

দলে রয়েছেন মণীশ শুক্লার বাবাও। । তারপরই ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল – বিজেপির-র সাংসদ অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও নিহত মণীশের বাবা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। তারা মণীশের হ্ত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানান। তারা হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। তারপই রাজ্যাপাল টুইটে আরও জানালেন, নিহত অ্যাডভোকেট মণীশের মাথায় অনেকগুলি বুলেটের ক্ষত ছিল। রাজ্যপাল বলেন, প্রতিনিধিদলের মতে এটি যড়যন্ত্র করে টার্গেট বানিয়ে রাজনৈতিক খুন। তারা স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের তদন্তের দাবি জানান। এই টুইটের ঘণ্টাখানেক আগে আর একটি টুইটে রাজ্য সরকার ও পুলিশকে চরম আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল। সমস্ত ফৌজদারি আইন-শাস্ত্র নীতি জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। মণীষ শুক্লার হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরাসরি রাজ্য পুলিশ ও সরকারকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় তিনি রবিবার রাত থেকেই একের পর এক টুইটে রাজ্যকে বিঁধে চলেছেন। সোমবার সন্ধের এই টুইটে তিনি আরও লিখেছিলেন, এই ধরণের মারাত্মক আচরণে সন্ত্রাস-সহ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ স্বচ্ছ তদন্ত থেকে অনেক দূরে রয়েছে।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1313124232214192130