বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দশম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার রাত বারোটা নাগাদ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে বেহালা থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই বেহালা থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। মৃত ছাত্রীর নাম সৃজনীর দালাল ৷ নব নালন্দা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল সৃজনী ৷ রাতেই ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা । দেহটি দেখে তাদের প্রাথমিক অনুমান ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে স্থানীয় বেহালা থানায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।” জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর গোটা রাত সৃজনী বাইরে ছিল। সেদিন সেইভাবে তার পড়াশোনা হয়নি । তারপর ছিল ভাসান পর্ব। সৃজনী ঠাকুর ভাসানে যেতে চেয়েছিল ৷ কিন্তু তাকে বাড়িতে বকাবকি করা হয় ৷ যেহেতু দশম শ্রেণির পড়াশোনার চাপ থাকে, তাই তাকে পড়তে বসতে বলা হয় ৷ এরপর কোনও কাজে কিছুক্ষণের জন্য বাড়ির সদস্যরা সৃজনীকে রেখে বাইরে বেরিয়েছিলেন ৷ কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে এসে তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে সৃজনীকে ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়াশব্দ না-পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন ৷ এরপরেই এলাকার লোকজন স্থানীয় বেহালা থানায় খবর দেয় ৷ পুলিশের সহায়তায় দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় সৃজনীর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশের অনুমান, সরস্বতী পুজোর ভাসানে যেতে না-দেওয়ায় ওই ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ৷