কয়েকমাস বাদেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন ৷ তার আগে কংগ্রেসের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দল ছাড়লেন পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল ৷ বুধবার টুইটারে কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করে পতিদার নেতা জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত কংগ্রেস হাই-কমান্ড তাঁর এই পদক্ষেপ সাদরে গ্রহণ করবে ৷ কংগ্রেস সভানেত্রীকে লেখা চিঠিতে দল ছাড়ার নেপথ্যে বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন তিনি ৷ গুজরাত নির্বাচনের মুখে কংগ্রেস শিবির ত্যাগ করলেন হার্দিক প্যাটেল। বুধবার টুইট করে শিবির ত্যাগের কথা জানান এই পাতিদার নেতা। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তাঁর টুইট, ‘সাহস করে কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি নিশ্চিত, এই সিদ্ধান্ত আমার সমর্থকেরা সমর্থন করবে। আমি গুজরাতবাসীর জন্য কাজ করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, গৃহীত পদক্ষেপ রাজ্যবাসীর স্বার্থে কাজে লাগবে।’ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, হার্দিক প্যাটেল তাঁর ইস্তফাপত্র সভানেত্রী সনিয়াকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ইস্তফাপত্রে সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় রাহুল গান্ধিকে তিনি চিকেন স্যান্ডউইচের সঙ্গে তুলনা করেন। হার্দিক যে কংগ্রেস ছাড়তে পারেন, তার একটা ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। গত ১৪ অগাস্ট সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ নেতৃত্ব এবং কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁকে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গিয়েছিল। এই পাতিদার নেতা বলেছিলেন, দলে তাঁর অবস্থা অনেকটা নপুংসক নতুন বরের সঙ্গে তুলনা করেন। ’ সেই সাংবাদিক সম্মেলনের পর থেকে জাতীয় রাজনীতির শিরোনামে উঠে আসেন হার্দিক প্যাটেল। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে,এই পাতিদার নেতার মন পেতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তার সঙ্গে বৈঠকও করেছিল। সেই বৈঠক থেকে কোনও রফাসূত্র বেরিয়ে আসেনি। তখনই ধরে নেওয়া হয়েছিল, যে কোনও সময়ে কংগ্রেস ছাড়তে পারেন হার্দিক প্যাটেল। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠানো চিঠিতে হার্দিক প্যাটেল লিখেছেন, রাহুল গান্ধি আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে পাতিদার নেতা বলেন, ‘ওরা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল ঠিকই। কিন্তু ওরা ব্যস্ত ছিল মোবাইল ফোন নিয়ে। এমন বৈঠক হওয়ার থেকে না হওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল। ‘


