মৃত্যু হয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ের। তা নিয়েই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পুলিশ রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে রাজবংশী যুবকের। দাবি ছিল, সিবিআই তদন্তের। তবে হাইকোর্টের নির্দেশ, এখনই সিবিআই তদন্ত নয়। গত ২৫ এপ্রিল উত্তাল হয়ে উঠেছিল কালিয়াগঞ্জ। থানা ঘেরাও, ভাঙচুর, আগুন লাগানো, পুরুষ ও মহিলা পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধর, আশেপাশের দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠ থেকে ইট-পাথর বৃষ্টি বাদ ছিল না কিছুই। দেখা গিয়েছিল ধারালো অস্ত্র। অভিযোগ ছিল, বোমাবাজির। শাসক শিবিরের দাবি ছিল, বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে মিশে ছিল কেএলও জঙ্গি। অভিযোগ ছিল, বিজেপির চক্রান্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। তবে আসল গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ের। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ গুলি চালায়নি। মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের বাবা ও ভাই সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। তবে তদন্তভার এখন সিআইডি-র হাতে। মৃতের পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্ত চালানোর দাবিতে। সেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। ওই মামলার শুনানি ছিল বুধবার। আদালতের নির্দেশে মামলাকারীর দাবি খারিজ হল। সিআইডি জানিয়েছে, যুবকের মৃত্যু কার গুলিতে হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।