রিমলের প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছিল উত্তরবঙ্গে। সে প্রভাবেই সিকিমের বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠল তিস্তা নদী। গত বছর সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ে গতিপথ বদলেছিল তিস্তা। তার জেরে, এ বার বর্ষার আগে নদীতে জল বাড়তেই নতুন কয়েকটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সেবকের কাছে লালটং বস্তি এলাকা। তিস্তায় জল বেড়ে যাওয়ায় ব্যারাজ থেকেও জল ছাড়তে হয়েছে। বুধবার সকালে প্রথমে কালীঝোরা থেকে জল ছাড়া হয়। তার পরে খুলে দেওয়া হয় গজলডোবা ব্যারাজের কয়েকটি লকগেটও। সব মিলিয়ে দুই হাজার কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। প্রাক বর্ষায় ডুয়ার্স-সহ উত্তরের পাহাড়ি এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সেই জলরাশি এসে পড়ে তিস্তায়। তিস্তার জলস্তর অনেকটা বেড়ে যায়। সেই জলধারা তিস্তা দিয়ে বয়ে আসে নিম্ন-অববাহিকা এলাকায়। আর এতেই সমস্যা পড়েন মাল ব্লকের টোটোগাঁও, গজলডোবা এবং ক্রান্তি ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত টোটোগাঁও বস্তি এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে। জল ঢুকে পড়ে কিছু বাড়িঘরেও। গ্রামে জল ঢুকে পড়ায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। তিস্তা ব্যারেজ, গজালডোবা এলাকায়ও জল বাড়তে দেখা যায়। ব্যারেজের লকগেট খোলা থাকায় তিস্তার জলস্রোত ক্রান্তি ব্লকের পূর্ব দোলাইগাঁও, সাহেববাড়ি এলাকায়, আবাদি জমি-সহ বসতি এলাকায় ঢুকে যায়। এতেই সমস্যায় পড়েন পাট ও বাদামচাষিরা। অনেকের জমিতে জল ঢুকে তলিয়ে যায় সদ্য বেড়ে ওঠা পাট ও বাদামের ক্ষেত। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, জল বাড়ার পূর্বাভাস ছিল না, ফলে মাঠে শুকোতে দেওয়া কাঠ ও ফসল ভেসে গিয়েছে।