আগামী দু’দিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ তবে, মৎসজীবীদের জন্য আপাতত কোনও সতর্কতা নেই ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, দক্ষিণবঙ্গের বাতাসের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ৷ সেই সঙ্গে, দিল্লি থেকে ডাটলগঞ্জ হয়ে জামশেদপুর, দিঘার উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা ৷ সেই কারণে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি পরিস্থিতি চলবে ৷ কয়েকদিন পরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং মৌসুমি অক্ষরেখা আরও উত্তরের দিকে সরে যাবে ৷ এর প্রভাবে ২-৪ অগস্টের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সেই সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে ৷ বুধবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় । বৃহস্পতিবারের পর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে । কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে । বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা । সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের । শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে । ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর জল স্তর বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস । তিস্তা, তোর্সা এবং জলঢাকা নদীতে জল স্তর বাড়বে । দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় ধস নামারও আশঙ্কা রয়েছে । গত ৫ বছরের মধ্যে এই বছর জুলাই মাসে কলকাতায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে বলে জানান আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা ৷ জুন মাসে বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও জুলাই মাসে রেকর্ড গড়ে ৫৯৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে । স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ ৩৬২ মিলিমিটার । সুতরাং, স্বাভাবিকের থেকে ৬৪ শতাংশ বৃষ্টি বেশি হয়েছে বঙ্গে । গত বছর জুলাই মাসে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩৯৮.৪ মিলিমিটার ৷


