দেশ

উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানে মৃত ৪, নিখোঁজ বহু

উত্তরকাশীরর ধরলি গ্রামে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে প্রাণ গেল কমপক্ষে চারজনের ৷ তীব্র গতিতে নেমে আসা কাদা-পাথরের স্রোতের মধ্যে চোখের পলকে মিশে যাচ্ছে পাহাড়ের ঢালে থাকা একাধিক বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের তলায় বহু মানুষ আটকে রয়েছেন ৷ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রশাসন জানিয়েছে প্রায় 60 জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ হড়পা বানের কাদা-পাথর ও জলের স্রোতে তলিয়ে গিয়েছেন অনেকে। ধরলিতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি থেকে তৈরি হওয়া হড়পা বানের জেরে খিরগঙ্গা নদীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে ৷ যার ফলে ধরলি বাজার এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোনে মুখ্যমন্ত্রী ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ধরলিতে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছেন। এই বিপর্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক্সে পোস্ট করেছেন ৷ তিনি লিখেছেন, “উত্তরকাশীর ধরলিতে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নিয়েছি। রাজ্য সরকারের তরফে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা হয়েছে ৷ উদ্ধারকারী দলগুলি ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে ৷” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, “উত্তরাখণ্ডের ধরলিতে হড়পা বান নিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি ৷ আইটিবিপির 3টি দল সেখানে পৌঁছেছে ৷ এনডিআরএফের 4টি দলকেও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, উদ্ধার কাজ চলছে ৷” লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি লিখেছেন, “উত্তরাখণ্ডের ধরলিতে মেঘভেঙে দুর্যোগে অনেকের মৃত্যু হয়েছে ৷ বহু মানুষ নিখোঁজ ৷ এই খবর দুঃখের এবং দুশ্চিন্তার ৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল ৷ দ্রুত নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছি ৷ প্রশাসনের কাছে আবেদন, উদ্ধার কার্যে গতি আনুক ৷ কংগ্রেসের নেতা ও কার্যকর্তাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা প্রশাসনের সঙ্গে যতটা সম্ভব সাহায্য করুন ৷”