কলকাতা

পঞ্চায়েত ভোটের আবহেই রাজ্যে নয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতের ভোটে প্রস্তুতি যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক এই রকম আবহেই প্রায় নিঃশব্দেই একটি দুর্নীতির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ দুর্নীতি হয়েছে জমি অধিগ্রহণে ক্ষেত্রে। সেই দুর্নীতির শিকড়ের সন্ধানেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে এই দুর্নীতির ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলায়। সেখানকার বাসিন্দা তথা মামলাকারী বীরেন্দ্রনাথ ঘোষের ৪৪ শতক জমি অধিগ্রহণ ও তার দাম নির্ধারণ নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই দুর্নীতি খতিয়ে দেখতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। জানা গিয়েছে, একটি জল সরবরাহ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বীরেন্দ্রনাথ ঘোষের ৪৪ শতক জমি অধিগ্রহণ করেছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। ২০০৯ সালে সেই জমি অধিগৃহীত হয়েছিল। কিন্তু বাম জমানায় অধিগৃহীত সেই জমি নেওয়া হলেও প্রথমে বীরেন্দ্রনাথবাবু কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ। পরে অভিযোগ জানানোর পর জেলা পরিষদের(Nadia Zilla Parishad) পক্ষ থেকে ওই জমির দাম ঠিক করে দেওয়া হয় ৩৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৩১ টাকা। তাঁর অভিযোগ, জমির সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। জমির দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর জমির দর কম করে দেখানো হয়েছে। একই এলাকার জমিতে ভিন্ন দাম দেওয়া হয়েছে। জমির দামেও আবার আকাশ-পাতাল ফারাক। এই ঘটনায় মামলাকারীর আইনজীবী তুলসী দাস জানিয়েছেন, বীরেন্দ্রনাথবাবুর জমিটি বাণিজ্যিক জমি। ওই জমি থেকে মাত্র ১ মাইল দূরে ৩৯ শতকের একটি জমির মূল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি ধার্য করেছে সরকার। সেখানে প্রতি শতকে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি ধার্য করা হয়েছে। অথচ সেই দাম দেওয়া হচ্ছে না বীরেন্দ্রনাথবাবুর জমির ক্ষেত্রে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি চৌধুরীর নির্দেশ, এটি বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত অথবা কোনও দুর্নীতির অঙ্গ। বাণিজ্যিক জমির দাম কোনওভাবেই কম হতে পারে না। এক্ষেত্রে নদিয়া জেলা পরিষদের অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এরপরই এই ঘটনায় সিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।