ইতিমধ্য়েই দেশে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV)-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 5 ৷ এই আবহে রাজ্যগুলিকে শ্বাসযন্ত্রে সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষদের উপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্র ৷ পাশাপাশি এই ভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে ৷ বৈঠকে হেলথ রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটরি ডক্টর রাজীব বাহল, হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ অতুল গোয়েল উপস্থিত ছিলেন ৷ এছাড়াও এনসিডিসি, আইসিএমআর, এনআইভি ও আইডিএসপি-র বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে ৷ চিনের বর্তমান HMPV পরিস্থিতি ও ভারতের কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও গুজরাতের 5 জন আক্রান্তর রিপোর্ট পাওয়ার পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকটি হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ মূলত, যেকোনও বয়সের মানবদেহের শ্বাসযন্ত্রে এই ভাইরাসের প্রভাব রয়েছে ৷ এর ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, সর্দি, কাশি প্রভৃতি সমস্যাগুলি হয়ে থাকে ৷ তবে প্রথম থেকে ভয়ের কোনও কারণ নেই বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তরফে ৷ কেন্দ্রের দাবি, পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে দেশে ৷ এদিনের বৈঠকের পরও কেন্দ্রের দাবি, ভয়ের কোনও কারণ নেই ৷ এখনও পর্যন্ত আইডিএসপি বা আইসিএমআর-এর রিপোর্টে কোনও অস্বাভাবিকতা নজরে আসেনি বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়সচিব জানিয়েছেন, 2001 সাল থেকেই বিশ্বে HMPV রয়েছে ৷ সুতরাং এই নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই ৷ তবে আইএলআই বা এসএআরআই-এ আক্রান্ত রোগীর উপর নজর রাখতে হবে ৷ সেই সঙ্গে, সাধারণ মানুষের মন থেকে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের মতে, শীতকালে ভাইরাস ঘটিত সর্দি, কাশি কিংবা জ্বর হওয়া খুব সাধারণ বিষয় ৷ এই নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই ৷ এছাড়া, এই ধরনে পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে দেশ ৷ স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, সোমবার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়সচিব পুণ্য সলিলা শ্রীবাস্তব সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শীর্ষ স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ বৈঠকে HMPV আক্রান্ত এবং যে কোনও শ্বাসযন্ত্র সমস্যাজনিত রোগীর উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ কতজন অসুস্থ রয়েছেন ? তাদের লক্ষণ কী ? এই সমস্ত বিষয়ে তথ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফে ৷