জেলা

আমিই নন্দীগ্রামে জিতবো, বাংলার ক্ষমতায় ফের তৃণমূলই: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নন্দীগ্রামে ভোটের পর দিনই উত্তরবঙ্গে প্রচার শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমেই কোচবিহারের দিনহাটায় সভা করেন তিনি। প্রায় একই সময় শীতলকুচির সভা থেকে মমতাকে আক্রমণ শাসান অমিত শাহ। সাফ বলেন নন্দীগ্রামে এবার জয়ের মুখ দেখবেন না তৃণমূল নেত্রী। তারই পাল্টা দিনহাটায় মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রামের মানুষকে অভিনন্দন। নন্দীগ্রামে ভোট দেখে বলতে পারি আপনারা জয়ের দিকে তাকিয়ে থাকুন।’ একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধেও ঝাঁঝালো আক্রমণ করেন মমতা। প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম করে আক্রমণ শানান। নন্দীগ্রামের মানুষকে অভিনন্দন। নন্দীগ্রামে ভোট দেখে বলতে পারি আপনারা জয়ের দিকে তাকিয়ে থাকুন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি একা জিতলে হবে না। সবাইকে জেতাতে হবে। তাই

আমাদের প্রার্থীদের জেতান। আমরা আপনাদের সব কাজ করে দিয়েছি। এসসি-এসটি-দের পেনশন করে দিয়েছি। লোভে পা দেবেন না। আমি আপনাদের জন্য আরও অনেক কাজ করতে চাই। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কিছু করবে না। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সবার নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে’। তিনি বলেন, বিজেপি গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে। কোচবিহারে আমার কত ছেলেকে মেরেছে বিজেপি। ওদের নির্দেশে নন্দীগ্রামে তাণ্ডব করেছে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা। বিজেপির নামে ভোট দিন বলে অত্যাচার করছে। নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, ভোট পরিচালনা করছেন অমিত শাহ। আমি শুধু শান্ত আছি ভোটের জন্য। লড়াই করতে আমি জানি। মমতা এও প্রশ্ন তোলেন, ভোটের সময় মোদি বাংলাদেশ গিয়েছিলেন কেন? ভোটের জন্য গিয়েছিলেন। কোথায় অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমে তো গেলেন না উনি। কেন?’ ‘রাজবংশীদের জন্য অনেক কাজ করেছি। রাজবংশী ভাষা-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করেছি। কামতাপুরী ভাষার প্রসারের জন্য অনেক কাজ করেছি। কোচবিহারকে শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছি।’