দেশ

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বায়োমেট্রিক না দিলে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি বন্ধ, ফের নয়া ফরমান মোদি সরকাররের

 রান্নার গ্যাসের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক, নোটবাতিল, আধার-প্যান সংযোগ, আধার আপডেটেই শেষ নয় ভোগান্তি। মোদি সরকাররের নয়া ফরমান-আবারও লাইন দিতে হবে আম জনতাকে। এবার রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি বজায় রাখতে। ডিলারদের অফিসে বায়োমেট্রিক দিয়ে ফের জমা করতে হবে কেওয়াইসি। আর সেটা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এলপিজির সঙ্গে সংযুক্ত আধারের রি-ভেরিফিকেশন না করলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে উজ্জ্বলা ও সাধারণ গ্রাহকদের ভর্তুকি। তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা বিপিসিএল, এইচপিসিএল, আইওসিএলের কাছে এসে পৌঁছেছে পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের এই নির্দেশ। জেলায় জেলায় ইতিমধ্যে ডিলার অফিসে পড়ে গিয়েছে এলপিজি গ্রাহকদের লাইন। কলকাতায় শনিবার থেকে বায়োমেট্রিক জমা নিতে শুরু করেছে ডিস্ট্রিবিউটররা। মোদি সরকারের নয়া সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। উজ্জ্বলার ভর্তুকির অঙ্ক যথেষ্ট বেশি। কিন্তু সাধারণ গ্রাহকদের কপালে জোটে তো মাত্র ১৯ টাকা ৫৭ পয়সা। তার জন্য এত ঝক্কি কেন নেব? তোলা হচ্ছে সেই প্রশ্ন। সেই ক্ষোভ ধামাচাপা দিতে অবশ্য তড়িঘড়ি জানানো হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করবেন ডেলিভারি ম্যানেরাই। খুব তাড়াতাড়ি তেল সংস্থাগুলির নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে বাড়ি বসে সেই কাজ করা যাবে। তবে তা চালু হতে হতে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ চলে আসতে পারে। তবে ডেলিভারি ম্যানের হাতে বায়োমেট্রিকের তথ্য তুলে দেওয়া কতটা নিরাপদ, সেই প্রশ্ন এড়ানো যাচ্ছে না। বিপিসিএলের দুর্গাপুর বিভাগের ম্যানেজার তমোঘ্ন ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, গ্রাহকদের ভর্তুকি চালু রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। আধার নম্বরের ভিত্তিতে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয় সেই টাকা। সেই আধার এখনও কার্যকর কি না, সেটা জানতেই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আঙুলের ছাপ দিয়ে পুনরায় কেওয়াইসি জমা করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে ডিলাররাও বেকায়দায়। শক্তিগড়ের একটি সংস্থার ডিলার রাজীব ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের কয়েক হাজার গ্রাহক রয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের আঙুলের ছাপ নিতে বলা হয়েছে। এতে গ্রাহকদের ঝক্কি যেমন বাড়বে, আমরাও সমস্যায় পড়ব। আমাদেরও পর্যাপ্ত কর্মী ও পরিকাঠামো নেই। নিজেদেরই বায়োমেট্রিক মেশিন কিনতে হচ্ছে।’