দেশ

‘আমরা একসঙ্গে আমাদের প্রতিপক্ষ শক্তির মোকাবিলা করি’ , হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে বললেন মোদি

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে উঠে এল সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ ৷ পাশাপাশি প্রতিপক্ষ শক্তির মোকাবিলায় জোর দেওয়া হয়েছে দু দেশের তরফে ৷ নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয় ৷ সেই বিবৃতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমরা বন্যা প্রতিরোধের সময় আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি । আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্যা সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করছি এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা করেছি । আমরা একসঙ্গে আমাদের প্রতিপক্ষ শক্তির মোকাবিলা করি, এটাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ৷” বাংলাদেশকে এই রিজিয়নে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগী বলে উল্লেখ করে মোদি বিবৃতিতে বলেছেন, জনগণের সহযোগিতায় ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে । বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ, বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার এবং এই অঞ্চলে আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার । জনগণের সহযোগিতায় ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে ।” মোদির কথায়, “গত কয়েক বছরে, আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করেছি । আমাদের কোভিড অতিমারী এবং সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাপী ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে ৷” এ দিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথ বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করে বলেছেন, খুব শিগগিরই ভারতের সঙ্গে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে সমস্যা কেটে যাবে ৷ তিনি বলেন, “দুটি দেশ অনেক কঠিন সমস্যার সমাধান করেছে ৷ আমরা আশা করব তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি-সহ অন্যান্য সমস্যারও খুব শিগগিরই সমাধান হবে ৷” দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা ৷ তিনি বলেন, “মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করছি ৷ তাঁর সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গতি পেয়েছে ৷ ভারত হল বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কাছের প্রতিবেশী ৷”