শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে হারিয়ে ভারত চলে গেল এশিয়া কাপের ফাইনালে। এদিন টস জিতে কলম্বোর স্পিনিং ট্র্যাকে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শুরুটা ভালো করে দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। ওপেনিং জুটিতে ৮ রানের পার্টনারশিপ করে ভারত। অর্ধশতরান পূরণ করেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙতেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাকে শুরু করে ভারত। মাঝে ইশান কিশান ও কেএল রাহুল কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। কিন্তু খুব বড় পার্টনারশিপ গড়তে পারেননি তারাও। এদিন শ্রীলঙ্কার তরুণ বাঁ হাতি স্পিনার দিমুথ ওয়ালালাগের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ভারতের তারকাখোচিত ব্যাটিং লাইন। গিল, কোহলি, হার্দিক, জাদেজারা কেউ বড় স্কোর করতে পারেননি। শেষের দিকে কিছুটা লড়াই করেন অক্ষর প্যাটেল। ভারতের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন রোহিত শর্মা। এছাড়া কেএল রাহুল ৩৯, ইশান কিশান ৩৩ ও অক্ষর প্যাটেল ২৬ রান করেন। ওয়ালালাগে একাই ৫টি উইকেটের শিকার করেন। ৪৯.১ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কাকে পরপর ঝটকা দেন জসপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজ। এরপর এদিনও অনবদ্য বোলিং করেন কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা। একসময় ৯৯ রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার। সেখান থেকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও দুনিথ ওয়ালালাগে ২ জন মিলে দলকে টানেন। ৬৩ রানের পার্টনারশিপ করে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু এই পার্টনারশিপ ভাঙতেই ফের ম্যাচে ফেরে ভারত। এরপর শ্রীলঙ্কার টেলেন্ডাররা ভারতের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। একদিকে ওয়ালালাগে দাঁড়িয়ে থাকলেও অপর দিক থেকে তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংসও খেলেন ওয়ালালাগে। শেষ পর্যন্ত ৪১.৩ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ, রবীন্দ্র জাদেজা, একটি করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ ও হার্দিক পান্ডিয়া।