বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে না-ফেলার আর্জি জানাল ভারত সরকার ৷ এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করার পরই নড়েচড়ে বসে বিদেশ মন্ত্রক । বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐতিহাসিক বাড়ি ভেঙে না-ফেলার অনুরোধ করা হয় ৷ প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে ভারত। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার ৷ কিন্তু তারপর থেকেই ওপার বাংলায় সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে। মাসখানেক আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার ঘটনাা সামনে এসেছে ৷একইসঙ্গে বাংলা সংস্কৃতির ‘নবজাগরণ’-এর প্রতীক হিসেবে ঐতিহাসিক এই ভবনটি সংরক্ষণে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন নয়াদিল্লি। দিল্লির তরফে ময়মনসিংহের ‘ল্যান্ডমার্ক’ ভবনটি ভেঙে ফেলার পদক্ষেপকে ‘গভীর দুঃখের’ বিষয় হিসাবে বর্ণনা করে ঢাকাকে এটিকে দুই দেশের অভিন্ন সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে এটি জাদুঘর করার আহ্বান জানিয়েছে ৷ এর জন্য সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত সরকার। ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায়চৌধুরী রোডে অবস্থিত এই বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এই বাড়িটিতে থাকতেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ৷ বিশিষ্ট সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী ও প্রকাশক ছাড়াও তিনি ছিলেন বিখ্যাত কবি সুকুমার রায়ের পিতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের দাদু ।


