দেশ

ভুট্টা, বাঁশ থেকে স্টোন চিপ, পরিবহণ বাড়াছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল

বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকদের দ্বারা বিভিন্ন সামগ্রীর সহজ পরিবহণের লক্ষ্যে ২০২৪-এর জুন মাসে অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী পণ্য ট্রাফিক হ্যান্ডলিং-এর জন্য আরও কিছু স্টেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রাহক সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং পণ্য রাজস্ব বৃদ্ধি করতে কাটিহার ডিভিশনের অন্তর্গত আদিনা স্টেশনটি ০৩-০৬-২০২৪ তারিখ থেকে অন্তর্মুখী কয়লা ট্র্যাফিক হ্যান্ডলিং-এর জন্য খোলা হয়েছে। রঙিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত তাতিবাহার স্টেশনটি ১০-০৬-২০২৪ তারিখ থেকে বহির্মুখী বাঁশ ট্র্যাফিক হ্যান্ডলিং-এর জন্য খোলা হয়েছে। এছাড়াও, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বিডিইউ) পদক্ষেপের অধীনে রঙিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত বিশ্বনাথ চারিআলি থেকে কাটা বাঁশ লোড করা হয়। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ফালাকাটা স্টেশন থেকে ৪২ ওয়াগন ভুট্টা এবং বিন্নাগুড়ি স্টেশন থেকে ২১ ওয়াগন স্টোন চিপ বুক করা হয়। অন্যদিকে, তিনসুকিয়া ডিভিশন দ্বারা প্রথমবারের জন্য অসমের ধেমাজি থেকে মধ্য প্রদেশের আমলাই পর্যন্ত বাঁশ-এর ২০টি ওয়াগন পরিবহণ করা হয়। বিডিইউ-এর অধীনে অবিরত প্রচেষ্টার ফলে ডিমাপুর স্টেশনের পার্সেল উপার্জন পূর্ববর্তী বছরের সংশ্লিষ্ট মাসের তুলনায় ১৬.৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। গ্রাহক সংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নতুন টার্মিনাল খোলার ফলে পণ্যবাহী ট্রেনের লোডিং ও আনলোডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। যার পরিণাম হিসেবে আগামী বছরগুলিতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে রেলে করে পণ্য পরিবহণের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ফলে যে সমস্ত ব্যবসায়ী সংগঠন পণ্য পরিবহণে জোর দিতে চান তারা নিশ্চিন্তে রেলের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। উত্তর পূর্ব ভারতে রেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে দ্রুত গতিতে। তাই আগামিদিনে আরও সুবিধা পাবেন।