খেলা

চেন্নাইয়ের কাছে ৪৯ রানে হারলো কেকেআর

 রবিবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠেই মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের কাছে ৪৯ রানে হারতে হলো নীতীশ রানাদের। প্রথমে ব্যাট করে চার উইকেটে ২৩৫ রান করে চেন্নাই। জবাবে ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৮৬ তুলেছে কলকাতা। নাইটদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন জেসন (৬১)। আর ৩৩ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ হারল কেকেআর।  ইনিংসের চতুর্থ বলেই শূন্য রানে সুনীল নারাইনকে ফেরান আকাশ সিংহ। পরের ওভারে নারায়ণ জগদীশনকে ফেরান তুষার পাণ্ডে। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান বেঙ্কটেশ আইয়ার ও নীতীশ রানা। জুটি বেঁধে দুজনে ৪২ রান যোগ করেন। অষ্টম ওভারে বল করতে এসে ওই জুটি ভাঙেন মইন আলি। আড়াআড়িভাবে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফেরেন বেঙ্কটেশ (২০ বলে ২০)। জেসন রয় ও নীতীশ রানা চেষ্টা চালান চেন্নাইয়ের বোলারদের বিষাক্ত আক্রমণ সামলানোর। নেমেই পর পর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতার সমর্থকদের হতাশা কাটানোর চেষ্টা চালান জেসন রয়। যখন মনে হচ্ছিল নাইট অধিনায়ক (২০ বলে ২৭) বড় রানের ইনিংস খেলবেন তখনই জাদেজার বলে সাজঘরের পথ ধরেন। ১০ ওভার শেষে নাইটদের স্কোর দাঁড়ায় চার উইকেটে ৭৬। চেন্নাইয়ের বোলাররা যাতে মাথায় চেপে বসতে না পারেন তার জন্য আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন জেসন রায়। রবীন্দ্র জাদেজাদের নির্দয়ভাবে পেটাতে শুরু করেন। কিন্তু ১৫তম ওভারে বল করতে এসে কলকাতার সমর্থকদের স্বপ্ন দেখানো জেসনকে সাজঘরে ফেরান মহেশ তীক্ষানা। পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৬১ রান করে ফেরেন জেসন। যার ওপরে ভরসা ছিল সেই রাসেল এদিন ব্যর্থ হন। তাঁর অবদান মাত্র ৯ রান। ডেভিড ওয়েইসকে দ্রুত ফেরান তুষার দেশপাণ্ডে। মাহেশের বলে ফেরেন উমেশ যাদব (৪)। শেষ পর্যন্ত ১৮৬ রান তোলে নাইটরা। ৩৩ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং।