বৃহস্পতিবার রাতে রামবান জেলায় জম্মু-কাশ্মীর জাতীয় সড়কে নির্মীয়মান টানেলে ধস নেমে চাপা পড়ে ১০ জন শ্রমিকেরা মৃত্যু হয়েছে ৷ সেদিনই একজন শ্রমিক প্রাণ হারান ৷ এরপর শনিবার উদ্ধারকার্যে নেমে বাকি ৯জনের মৃতদেহ মেলে ৷ এর মধ্যে পাঁচজন পশ্চিমবঙ্গের, জম্মু-কাশ্মীরের দু’জন, নেপালেরও দু’জন এবং অসমের একজন শ্রমিক রয়েছেন ৷ এত গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ৷ রামবানের ডেপুটি কমিশনারের অফিস থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, “মাননীয় লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রীমনোজ সিনহা নির্মাণকারী কোম্পানিকে প্রত্যেক মৃতের পরিবারপিছু ১৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ এনএইচ৪৪-এ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ মাননীয় গভর্নর তাঁর ত্রাণতহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ৷” নিখোঁজ জলপাইগুড়ির ৫ যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন জম্মু কাশ্মীর সরকার ৷ যার মধ্যে ধূপগুড়ি ব্লকের পশ্চিম মল্লিকপাড়া এলাকার ২ জন এবং গধেয়ার কুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের চরচরাবাড়ি এলাকার ৩ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর মেলে ৷ শনিবার সন্ধে নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কাছে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের রামবান ডেপুটি কমিশনারের দফতর থেকে একটি চিঠি এসে পৌঁছয় । তাতে ধূপগুড়ি ব্লকের নিখোঁজ ৫ জনেরই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে ৷ মৃত শ্রমিকদের নাম-যাদব রায়, গৌতম রায়, সুধীর রায়, দীপক রায় এবং পরিমল রায় ৷ শীঘ্রই মৃত শ্রমিকদের দেহ এরাজ্যে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে ৷ রামবান ডেপুটি কমিশনারের দফতর থেকে পাঠানো চিঠিতে সেই বিষয়টিরও উল্লেখ রয়েছে ৷