বিদেশ

টোকিওর দ্বীপপুঞ্জে শক্তিশালী ভূমিকম্প, জারি সুনামি সতর্কতা

ছোট ছোট সুনামি ঢেউ আছড়ে পড়েছে টোকিওর দক্ষিণে দ্বীপপুঞ্জের তীরে ৷ মঙ্গলবার এই দ্বীপপুঞ্জে এই সুনামির সতর্কতা জারি করেছে জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি ৷ এদিন ভোরে এই দ্বীপাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়৷ তার কিছুক্ষণ পর ছোট সুনামি ঢেউ আছড়ে পড়ে৷ অগ্ন্যুৎপাতের ফলেই ভূমিকম্প বলে জানা গিয়েছে ৷ কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি ৷ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের তীরবর্তী এলাকাগুলিতে অবশ্য ভূমিকম্প তেমন টের পাওয়া যায়নি ৷ এর প্রায় তিন ঘণ্টা পরে জাপান সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেয় ৷ জাপানের মেটেরিওলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, এদিন ভোরে প্রশান্ত মহাসাগরের ইজু দ্বীপপুঞ্জের উপকূলবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৯৷ এর প্রায় ৪০ মিনিট পরে ইজু দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ হাচিজো থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে ৫০ সেমি (১ মিটার) দীর্ঘ সুনামি ঢেউ আছড়ে পড়ে ৷ এই এলাকাগুলিতে মানুষের বসবাস তেমন একটা নেই ৷ এর আগে জেএমএ জানিয়েছিল, ইজু ও ওগাসাওয়ারা দ্বীপপুঞ্জের এক মিটার দীর্ঘ (৩.৩ ফুট) সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ৷ বাসিন্দারা জন্য আগেভাগে প্রস্তুত থাকে ৷ টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্টের গত বছরের হিসেব অনুযায়ী, ইজু, ওগাসাওয়ারা দ্বীপপুঞ্জে ২৪ হাজার মানুষের বাস ৷ জাপান চারটি গুরুত্বপূর্ণ টেকটোনিক প্লেটের উপর অবস্থান করছে ৷ বছরে ১ হাজার ৫০০ টি ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েই থাকে এখানে ৷ এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে জাপানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বাড়িঘর তৈরি করা হয় ৷ ভূমিকম্প-সুনামির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলির বিরুদ্ধে মোকাবিলায় জাপান যথেষ্ট দক্ষ ৷ ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামি হয় ৷ ৯.১ তীব্রতার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল ৷ এরপরই ৩০ মিটার উচ্চ সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ে ৷ তছনছ হয়ে যায় জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷