বাংলা নিজের মেয়েকে চায় স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচারে ঝড় তুলছে তৃণমূল। এবার এই স্লোগানকে সামনে রেখে ভোট প্রচারে এসেছেন জয়া বচ্চন। তৃণমূল ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসু। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জয়া বচ্চনকে সংবর্ধনা জানানো হয়। মমতার হয়ে প্রচারে ৩ দিনের জন্য রাজ্যে এসেছেন জয়া বচ্চন । সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই স্মরণ করিয়ে দিলেন, তিনি ‘বাংলার মেয়ে’। বললেন,’আমার নাম জয়া বচ্চন। তার আগে আমার নাম ছিল জয়া ভাদুড়ি। আমার বাবার নাম তরুণ ভাদুড়ি। আমরা প্রবাসী বাঙালি। কিন্তু বাঙালি। ‘জয়া বচ্চন বলেন, আমি বাংলায় এসেছি তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে কোনো অভিনয় করতে আসেনি। আমার দলের নেতা অখিলেশ যাদব তৃণমূলকে সমর্থন করেছে। মমতার প্রতি আমার সম্মান ভালোবাসা আছে। মমতা একনয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছেন। সাংবাদিক বৈঠক থেকে জয়া বচ্চন বলেন, আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মমতা ব্যানার্জিকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মমতা ব্যানার্জির পা ভাঙতে পারে কিন্তু তাঁর হৃদয় ভাঙেনি। আমি বিশ্বাস করি মমতা ব্যানার্জি যে কাজটা করবেন বলেন তা উনি পূরণ করেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জয় বাচ্চান বলেন আপনারা সত্য কথা লিখুন।বস যা বলবে তা করলে চলবে না। বাঙালীদের ভয় দেখিয়ে কেও সফলতা পায়নি।এ দিন জয়া বলেন,’এখানে অভিনয় করতে আসিনি। অখিলেশ যাদব আমাকে বললেন, আমরা সমর্থন করছি তৃণমূল কংগ্রেসকে । তাদের প্রচারে যাবেন আপনি। খুব ভালো লাগল, উনি আমাকে এই কাজটা দিলেন। দ্বিতীয়ত, মমতাজির জন্যে ভালোবাসা ও সম্মান।’ বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার লড়াইয়ের প্রশংসা করে জয়া বলেন,’সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন একজন মহিলা। মাথা ভাঙা, পা ভাঙা কিন্তু ওরা মমতার হৃদয় ও মস্তিষ্ককে ভাঙতে পারেনি। বাংলাকে বিশ্বের সেরা করাই মমতার জেদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে এখানে আরও উন্নতি হবে। আমার ধর্ম ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নেবেন না। আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই করছেন মমতা । রবীন্দ্রনাথের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ থেকে উদ্ধৃত করে জয়া বচ্চনের বার্তা, বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন, এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান। বাংলা আজ যা ভাবে, করে, তা অন্যান্যরা অনেক পরে। মমতাদিকে যাঁরা পছন্দ করেন না, তাঁদের বলব লজ্জা, লজ্জা।’