সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ির দোতলায় জাঁকিয়ে বসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এক মাস আগেই সিবিআইয়ের মামলায় কলকাতা আদালতে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে CBI-এর দায়ের করা মামলায় অবশেষে আদালতে শর্তসাপেক্ষ রেহাই পান তিনি। বিচারপতি অরজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই জামিন মামলা। সেখানেই শারীরিক অবনতিকে ‘ঢাল’ করে শর্তসাপেক্ষ অন্তর্বর্তী জামিন পান সুজয়কৃষ্ণ। এই জামিনে ‘কাকু’কে বলা হয়, তিনি কোনও ভাবেই বাড়ির বাইরে পা দিতে পারবে না, নিতান্তই চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ ছাড়াও। এছাড়াও, তাঁর দু’টি মোবাইল নম্বর সিবিআইকে দিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি, ‘কাকু’র জুড়ে দেওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীও। মার্চ মাসের শেষ অবধি এই অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। হাতে আর দিন দশেক। তারপরেই আবার ফিরে যাওয়ার পালা। কিন্তু তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ ‘কাকু’র আইনজীবী। অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি নিয়েই আদালতে দ্বারস্থ হলেন তিনি। পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তুলতে দেখা গেল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। সিবিআই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। তার আরও দাবি, নির্দেশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে থাকতে বলা হয়েছিল বাড়ির বাইরে। কিন্তু প্রতি রাতেই তারা বাড়ির দোতলার বেডরুম দখল করছে। এমনকি, যখন-তখন বাড়ির নানা সুবিধা ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। এই কার্যত তারা যেন ছায়া হয়েছে ‘কাকু’র। তার অভিযোগ, হাসপাতালে গেলে পিছু পিছু বাহিনীও হাজির হয়ে পড়ছে সেখানে। শুধু তা-ই নয়, হাসপাতালের রুমে কারা যাচ্ছেন-আসছেন, রেজিস্টারও ধরে সেই বিষয়েও নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
