আগস্ট থেকে জানুয়ারি। দীর্ঘ সাড়ে চার মাসের টানাপোড়েনের পর বুধবার রাত ৯টা নাগাদ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিআরপিএফ জওয়ানের নিরাপত্তায় জোকা হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। ওদিকে, দুপুর থেকেই ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয় তাঁর গলার নমুনা সংগ্রহের জন্য। পিজি থেকে জোকা প্রায় ৪০ মিনিট পথ ফাইভ জি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টা নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢুকলেন তিনি। সন্ধ্যাতেই এসএসকেএমে হঠাৎ তৎপর ইডির। হাসপাতালে মোতায়েন হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইএসআইয়ের অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে আসা হয়। শেষে প্রায় সাড়ে চার মাস পর এসএসকেএম থেকে বাইরে বেরলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সূত্র ধরে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছিল ইডি। আদালতের থেকেও অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু, এতদিন তা সম্ভব হয়নি। এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে একাধিকবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল ইডি। ইডির তদারকিতে ফাইভ জি অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই জোকার ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তাঁর রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন ও অন্যান্য মেডিক্যাল প্যারামিটার পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করে দেন। অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা এসএসকেএম ও জোকার দুই চিকিৎসক নিরন্তর তাঁর শারীরিক অবস্থা রেকর্ড করতে থাকেন। বস্তুত এই সময়টুকুর মধ্যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার যাতে কোনওরকম পরিবর্তন না হয় তার দিকে সতর্ক নজর রাখা হয়েছে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পর রাতেই তাঁকে পিজির কার্ডিওলজিতে ফেরত দেওয়া হবে বলে জোকা ইএসআই হাসপাতাল সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল। প্রশ্ন উঠে গেল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে পৌনে নটা পর্যন্ত এতটা সময় ইডি ও এসএসকেএমের মধ্যে কী কোনও টানাপোড়েন হয়েছিল? সূত্রের খবর, এই সময়ের মধ্যে জোকা ইএসআইয়ের এবং এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা ‘কালীঘাটের কাকু’র মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখছিল। রাতে তাঁর কোনও ওষুধ প্রয়োজন কিনা, তা দেখা হয়েছে।