প্রথম মার্কিন মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে নজির গড়েছেন কমলা হ্যারিস। কমলা হ্যারিস অ্যামেরিকায় বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মুখ ৷ যাঁকে বারবার দেখা গিয়েছে অ্যামেরিকার রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারের দাবি নিয়ে সরব হতে ৷ আজ তিনি অ্যামেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ৷ প্রথম কোনও মহিলা ও অশ্বেতাঙ্গ, এশীয়-অ্যামেরিকান হিসেবে যিনি এই পদে নির্বাচিত হলেন ।কমলা হ্যারিসের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায় । তাঁর বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস এবং মা শ্যামলা গোপালন দু’জনেই ছিলেন অভিবাসী । ডোনাল্ড ও শ্যামলার প্রথম বার দেখা হয় UC বার্কলেতে । স্নাতক স্তরের পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে তাঁরা নাগরিকদের অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ।ডোনাল্ড হ্যারিস এসেছিলেন জামাইকা থেকে । মা শ্যামলা অ্যামেরিকার UC বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন ভারতের তামিলনাডু থেকে । শ্যামলার বাবা পিভি গোপালন ছিলেন এক পদস্থ সরকারি কর্মচারী । তিনি আজীবন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন । তিনি তাঁর বড় মেয়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন এবং মেয়ের স্বপ্ন সফল করতে অবসরের সঞ্চয় দিয়ে তাঁকে সমুদ্র পাড়ি দিতে সাহায্য করেন ।কমলার বয়স যখন 7 তখন বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর বাবা ও মায়ের ৷ এক সাক্ষাৎকারে কমলা তাঁর দাদুর প্রসঙ্গে বলেছেন যে, দাদু ছিলেন তাঁর সবচেয়ে পছন্দের মানুষের মধ্যে অন্যতম । এমনকী তাঁর কাছ থেকে মানুষের জন্য কাজ করার অনেক কিছু শিখেছেন । অন্যদিকে, ভারতের কমলা হ্যারিসের জয়ে আনন্দে ভাসছে তামিলনাড়ুর থুলাসেন্দ্রাপুরম। এই গ্রামেই তো জন্ম কমলার মায়ের। তারপর অবশ্য চলে যেতে হয়েছে মার্কিন মুলুকে। আর আজ ভারতীয় বংশোদ্ভুত সেই কমলা হ্যারিস গড়তে চলেছেন ইতিহাস। সেই উপলক্ষে গতকাল রাত থেকেই আমেরিকার পাশাপাশি উৎসবে মেতেছেন তামিলনাড়ুর থুলাসেন্দ্রাপুরমের বাসিন্দারা। জায়গায় জায়গায় কাটআউট, হোর্ডিং, পোস্টার সাঁটা হয়েছে কমলা হ্যারিসের । ছবি নিয়ে সেলিব্রেশনও চলছে অনেক জায়গায়। কোথাও আবার চলছে মিষ্টি বিতরণ। এমনকী রঙ্গোলীর মাধ্যমেও তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেনি থুলাসেন্দ্রাপুরম।