খেলা

শেষ ওভারে পাঁচটা ছয়, রিঙ্কুর অবিশ্বাস্য ইনিংসে জয় ছিনিয়ে নিল কেকেআর

রিঙ্কুর ২১ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে। শেষ ওভারে টানা পাঁচটি ছয় হাঁকিয়ে কেকেআরকে ৩ উইকেটে জিতিয়ে দিলেন রিঙ্কু সিং। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং কেকেআর তারকার।প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জগদীশন (৬) বেশি কিছু করতে পারেননি। ২৮ রানে দুই উইকেট হারালেও হিম্মত হারেনি কেকেআর। দুই বাহাতি ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং অধিনায়ক নীতিশ রানা পাল্টা লড়াই শুরু করে ১০০ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করেন। নীতিশ ৪৫ করে আউট হন। ৩টি দেখার মত ছক্কা হাঁকান কেকেআর ক্যাপ্টেন। কিন্তু ১৪ নম্বর ওভারে আলজারি জোসেফ মাত্র চার রান দিলেন। এই জায়গায় হয়তো রিংকুর জায়গায় রাসেলকে নিয়ে আসা উচিত ছিল কেকেআরের। কিন্তু পন্ডিতমশাই এর ভরসা ছিল রিনকুতে। অন্যদিকে ভেঙ্কটেশ একাই লড়াই করে গেলেন। দীর্ঘদিন বাদে নিজের অন্যতম সেরা ব্যাটিং তুলে ধরলেন কেকেআরের এই অলরাউন্ডার। ৪০ বলে ৮৩ করে গেলেন ভেঙ্কটেশ। আটটি বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। এরপরে এলেন রাসেল। শেষ চার ওভার কলকাতার প্রয়োজন ছিল পঞ্চাশ রান। কিন্তু আবার পুরো ব্যর্থ তিনি। রশিদ খানের বলে ব্যাটে লেগে প্যাডে লেগে উইকেট রক্ষকের হাতে জমা পড়লেন ক্যারিবিয়ান তারকা।পরের বড় এই সুনীল নারিন ছয় মারতে গিয়ে ফিরে গেলেন।আশা ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত শার্দুল ঠাকুর ছিলেন। কিন্তু রশিদ খানের প্রথম বলেই এল বি ডব্লিউ হলেন। গুগলি ধরতেই পারেনি আগের ম্যাচে ৬৮ করা লর্ড শার্দুল। আফগান তারকা হ্যাটট্রিক করে ফেললেন। এরপর আর কেকেআরের জয়ের আশা ছিল না। ১৭ নম্বর ওভারটাই নাইটদের যাবতীয় লড়াই শেষ করে দিয়ে গেল। ভেঙ্কটেশ যে লড়াইটা করেছিলেন তাকে সাহায্য করতে পারলেন না অন্য কেউ। নিশ্চিতভাবেই এই পরাজয় হজম করা সহজ হবে না। যে ম্যাচটা কলকাতার হাতে ১৫ ওভার পর্যন্ত ছিল, সেটা পাল্টে গেল দুটো ওভারে। রাসেল জঘন্য। আর কতদিন শুধু নামের জোরে খেলে যাবেন সেটা কেকেআর ম্যানেজমেন্ট বলতে পারবে।