সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত হিন্দি ছবি ‘শেরদিল’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ২৪ জুন । নেপালের পিলিভিটের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেতে না-পেতেই শোরগোল ফেলেছে ৷ আরও একটি কারণে সিনেপ্রেমীদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এই ছবি ৷ কারণ এই ছবিতেই জীবনের শেষ প্লে-ব্যাকটি গেয়ে গিয়েছেন সদ্যপ্রয়াত কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ । কেকে-র কণ্ঠে ‘ধুপ পানি বহনে দে’ গানটি মুক্তি পেল আজ। কথায় আছে শিল্পীর মৃত্যু হয়, শিল্পের মৃত্যু হয় না । কেকে নেই । বেঁচে থাকবে তাঁর অগণিত গান । গানটি লিখেছেন গুলজার, সুর দিয়েছেন শান্তনু মৈত্র । কেকে’কে নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগ আর নস্ট্যালজিয়া গ্রাস করে কিংবদন্তি গুলজারকে ।
তিনি বলেন, “সৃজিত আমাকে ওঁর ছবিতে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে । শুধু তাই নয়, আমাকে কেকে’র সঙ্গে ফের একবার কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে সৃজিত । কেকে’র সঙ্গে আমার প্রথম কাজ ‘মাচিস’ ছবিতে । “ছোড় আয়ে হাম ও গলিয়া…” গানটি গেয়েছিল কেকে । আর ‘শেরদিল’ ছবির এই গানটি পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেয় । জঙ্গল, নদী, মাটি, গাছ বাঁচানোর বার্তা দেয় । আমার ভাবতে এবং বলতে খারাপ লাগছে কেকে’র এটাই শেষ গান । আরও ক’টা দিন কেকে থেকে যেতে পারত । যদিও মৃত্যু আমাদের কারোরই হাতে নেই, তবে, ‘শেরদিল’ ছবির কথা হলেই আমার কেকে’র কথা মনে পড়বে ।” শান্তনু মৈত্র জানান, “কেকে এই গানটা একেবারে লাইভ কনসার্টের মতো করে গেয়েছিলেন । এই গানে একটি বিশেষ বার্তা আছে । যেটা যুব সমাজের জানা দরকার । গানটা কেকে নিজের মতো করে প্রাণ ঢেলে গেয়েছিলেন ।” সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা গুলজারের লেখা পড়ে বড় হয়েছি । কেকে’র গান আমাদের সব অনুভূতির জন্য । এই ছবির দৌলতে দু’জনের কাছাকাছি আসতে পেরেছি । এটা আমার কাছে জোড়া পাওনা ।” রবিবারই তাঁর ছবিতে গাওয়া কেকে-র শেষ গানমুক্তিক কথা জানিয়েছিলেন সৃজিত ।