পুরভোটে বেলেঘাটার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজির অভিযোগ। সেখানকার খান্না হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজি চলেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আরও অভিযোগ, বেলেঘাটার পাশাপাশি শিয়ালদহেও হয়েছে বোমাবাজি। সেখানকার টাকি স্কুলের সামনে দু’টি বোমা পড়েছে। এর জেরে আহত হয়েছেন দু’জন। একজনের পায়ে আঘাত লেগেছে। রবিবার সকাল থেকে বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল ভোটগ্রহণ। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিছুটা হলেও বদলে যায় ছবি। শিয়ালদহের টাকি বয়েজ হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজি শুরু হয়। বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন দীপু দাস নামে এক ব্যক্তি–সহ দু’জন। বোমাবাজিতে পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন দীপু। তিনি বর্তমানে ভর্তি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, দীপু কাশিমবাজার রোডের বাসিন্দা। একের পর এক বোমাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শচীন সিংয়ের অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা টাকি বয়েজ হাইস্কুলের সামনে পরপর দু’টি বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। তাতেই দীপু–সহ ২জন জখম হন। খান্না হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজির ঘটনাতেও কাঠগড়ায় কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগও একইরকম। যদিও কংগ্রেস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রবিকান্ত সিং আবার এই বোমাবাজির জন্য আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের দিকে। তবে বোমাবাজির সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করা হয়েছে। তৃণমূলেরও একই দাবি। বোমাবাজির পর ঘটনাস্থলে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কে বা কারা এ কাজ করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোমাবাজির ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও।