কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় ফের এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো। আচমকাই সিংহের গুহায় ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি। ওই খাঁচায় থাকা সিংহটি ওই ব্যক্তিকে থাবা বসায়, কামড়ে ধরে তাঁকে নিজের গুহার ভিতর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সিংহটি। তবে তাঁর পালক সামনেই থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। তিনি ও চিড়িয়াখানার অন্যান্য কর্মীরা কোনও রকমে সিংহটিকে সরিয়ে নিয়ে যান। সিংহের থাবায় গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই আপাতত তাঁর চিকিত্সা চলছে। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত রয়েছে। মূল আঘাত তাঁর ডান পায়ে। সেখানেই সিংহ থাবা বসিয়েছে ও কামড়ে ধরেছিল। ডান কাঁধেও সিংহের থাবার চিহ্ন রয়েছে। শরীরের একাধিক জায়গায় আঁচড় রয়েছে। ইতিমধ্যেই যুবককে অ্যান্টি র্যাবিট ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। যাতে ক্ষতস্থান বিষিয়ে না যায়, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ক্ষতয় অস্ত্রোপচার করা হবে। আপাতত যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।এসএসকেএম-এর বেডে শুয়ে আহত ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘তিনি সিংহকে বাঁচাতে খাঁচার ভিতর ঢুকেছিলেন। বনের পশুকে বনেই রাখা উচিত। সিংহকে মুক্তি দিতে গিয়েছিলাম। চিড়িয়াখানায় থাকবে না সিংহ’। ‘ওই ব্যক্তি স্পষ্ট জানান, কেউ না। আমি নিজের ইচ্ছাতেই গিয়েছিলাম’। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম গৌতম গুছাইত, তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বাসিন্দা। আর পাঁচজন সাধারণ দর্শকের সঙ্গেই তিনি ঘুরছিলেন আলিপুর চিড়িয়াখানায়। আচমকাই তিনি ফেন্সিং টপকে ঝাঁপ দেন সিংহের এনক্লেভে। কয়েক বছর আগে এই আলিপুর চিড়িয়াখানায় রয়াল বেঙ্গল টাইগারের খাঁচায় ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেবার বাঘ শিবার থাবায় প্রাণ হারাতে হয়েছিল তাঁকে মালা পড়াতে যাওয়া ওই যুবককে।