শহিদ মিনার ময়দানে বাজি বাজারের অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল মঙ্গলবার থেকেই। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ৩ বছর পর এই অনুমতি পাওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছেন বাজি কারবারিরা। কিন্তু এদিন শহিদ মিনার ময়দানে দেখা গেল না কোনও বাজির দোকান। কেন? বড়বাজার ফায়ার ওয়ার্কস ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক শান্তনু দত্ত বলছিলেন, ‘আমাদের স্টলগুলি তৈরি করতে ৩-৪ দিন সময় লাগবে। খুব সম্ভবত ৪ নভেম্বর বাজারে পুলিস সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা পরিদর্শনে আসবেন। ৬ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার থেকে পুরোদমে বাজি বাজার শুরু হয়ে যাবে।’এই বছর মোট ৩০টি দোকান থাকবে বাজারে। তিনি বলেন, ‘বাজি ব্যবসায়ীদের খুবই করুণ অবস্থা। তিন বছর আমাদের খারাপ সময় গিয়েছে। এখন সরকার আমাদের প্রতি কিছুটা সদয় হয়েছে। দেখা যাক ঘুরে দাঁড়ানো যায় কি না’। অন্যদিকে, ময়দানে বাজি বাজার হওয়া নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মীরা। তাঁরা এই নির্দেশ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদনও করেছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে। এই বিষয়ে শান্তনুবাবুর বক্তব্য, ‘আদালত সবদিক বিচার করে এমন নির্দেশ দিয়েছে। এতে রাগারাগি করার কিছু নেই। আমরা এতদিন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এই বছর বাজি বাজারে সম্পূর্ণ কিউ আর কোড যুক্ত সবুজ বাজিই বিক্রি হবে বলে জানানো হয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে।